রোকনুজ্জামান সবুজ, জামালপুরঃ ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে।
ফলে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর,রাস্তা-ঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-দোকানপাট ও নিম্নাঞ্চল।
বন্যার পাশাপাশি কোন কোন জায়গায় দেখা দিয়েছে প্রবল নদী ভাঙন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনা হার্ড পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত কয়েক দিন ধরে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার (১সেপ্টেম্বর) দুপুরে যমুনা হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যা বর্তমানে খুব দ্রæত বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আব্দুল মান্নান বলেন, আরো দু-একদিন পানি বাড়তে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।
বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। গভাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকার মানুষ।
চিনাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, বন্যা হলেই এই ইউনিয়নে পানি ঢুকে মানুষের দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, যমুনার পশ্চিম চরাঞ্চল এই ইউনিয়নটি নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি আতংকের মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী।
বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় ও এক সপ্তাহ যাবৎ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ইঞ্জিলামারী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে।
পার্থশী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবুল জানান, মহিষবাতান, নলভাঙ্গী,বেড়েগাঁও, দেলিপাড়, শিমলতলা, খলিষাকুড়ি,সুরেরপাড়,পৃর্ব গামারিয়া দক্ষিণ পাড়াসহ গ্রাম অঞ্চলগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর আর বন্যা হবে না- এমন ধারণা থেকে কৃষকরা এক টুকরো জমিও খালি রাখেনি।
এবারের বন্যা পরিস্থিতি তাদের চরম ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান টিটু বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের ব্যাপক প্রস্ততি রয়েছে।
চিনাডুলি ও বেলগাছা ইউনিয়নে ২শত পরিবারকে ত্রাণ দিচ্ছি। বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।