• ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

স্বরূপকাঠির শান্তিরহাটের এনজিও মালিক মুনিরের বেআইনি কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ নারী কর্মীরা 

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত আগস্ট ১৭, ২০২১, ১৮:২০ অপরাহ্ণ
স্বরূপকাঠির শান্তিরহাটের এনজিও মালিক মুনিরের বেআইনি কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ নারী কর্মীরা 
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নেছারাবাদ  স্বরূপকাঠি উপজেলা মধ্যে চলছে এনজিও নামে অবৈধ সমবায় সমিতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ দেখার ও বলার কেউ নেই ? তার ছত্রছায়ায় চলছে একের পর অপকর্ম।
শুধু তাই নয় নারী নিয়ে বেআইনি ভাবে আমোদ ফুর্তি করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে আউরিয়ার বাসিন্দা মোঃ মোতালেবের ছেলে মোঃ  মুনিরের(৩২) বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্র জানায় গত কয়েক মাস ধরে উত্তর কামারকাঠীর স্কুল পড়ুয়া বালিকাকে নিয়োগ দেয় স্থানীয় শান্তির হাট বাজারের এনজিও মালিক মোঃ মুনির ।
স্থানীয় সূত্র আরও জানায় ভদ্রতার আড়ালে সুকৌশলে রুপালী সমবায় সমিতির নামে লাইসেন্স নিয়ে  সুদের রমরমা ব্যবসা করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া আউরিয়ার মুনির বেপরোয়া হয়ে উঠে।
দিন নেই রাত নেই ( ছদ্ম নাম তামান্না ১৭) কে নিয়ে কাজের নামে অতি মাত্রায় বাড়তি কাজের কারণে শান্তির হাট বাজারের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়।
সরাসরি অভিযোগের আকারে কেহই স্থানীয় পর্যায়ের কোন গণ মাধ্যম কর্মীদের কিছুই বলেনি। তবে বাজারের এক এনজিও কর্মী জেলার এক গণ মাধ্যম কর্মীকে বিস্তারিত সব খুলে বলেন।
আর সেই সূত্র ধরেই জেলার গণ মাধ্যম কর্মী গোপনে গোপনে সোর্স নিয়োগ দেয় সঠিক তথ্য উদঘাটন করার নিমিত্তে।
এদিকে পিরোজপুর জেলা সহ স্থানীয়  পর্যায়ে সমবায় অফিস থেকে নাম মাত্র লাইসেন্স নিয়ে এন জি ও চালু করেন বহু উঠতি বয়সের তরুণ সহ বহু যুবকরা।
স্ব স্ব ওয়ার্ড কিংবা ইউনিয়নের মধ্যে  সমরায় আইন কে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে মুনিরের মত লোকজনরা।
পাশাপাশি  সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে দৈনিক,সাপ্তাহিক ও মাসিক লেনদেন চালু করেন বেআইনী ভাবে ।
অথচ  সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সমবায় আইনে দৈনিক লেনদেন করা  সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ। এরপর সাপ্তাহিক লেনদেনের বিধান নেই স্থানীয় পর্যায়ে। অথচ জেলা বা উপজেলায় বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ভুঁইফোড় শ’শ প্রতিষ্ঠান।
আর সেই আলোকে স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে।এদিকে  স্থানীয় পর্যায়ে বেশকিছু লম্পট চরিত্রের মালিক এনজিওর প্রতিষ্ঠানে খুলে ষোড়শী কিংবা অষ্টাদশী কুমারী বালিকা নিয়োগ দেয় রগচটা লোভনীয় অফারের মাধ্যমে।
আর সেই কারণে গাও গ্রামের অসহায় পরিবারের কুমারী বালিকারা স্থানীয় লোভী মালিকের নজরে পড়ে যায়।
মোটা অঙ্কের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পেয়ে হত দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা মুনিরের মত মালিককে দেবতা মনে করে। আবার কিছু কিছু মালিকরা স্থানীয় সমবায় অফিস থেকে লাইসেন্স নিয়ে নাম মাত্র কার্যক্রম  শুরু করে আলোচনাশ আসে। আবার অনেক মালিক সুন্দরী বালিকাদের বিশাল বিশাল অফার দিয়ে কাছে বিড়ায়।
কিন্তু এহেনও মুনিরের মত টাউট নারী লোভী মালিকরা দিনের পর দিন এন জি ও কর্মীর স্পর্শ কাতর স্থানে বাঁকা চোখে তাকায়। দিন বা সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই এনজিও কর্মীকে বিছানার নিতে ভুল করেনা।
ঘরে বিবাহিত বউ, ছেলে মেয়ে কিংবা বিবাহ যোগ্য ঘরে মেয়ে থাকা সত্বেও নারীর শরীরের স্বাধ নেওয়ার জন্য পাগলা কুকুর হয়ে যায় মাঝে মাঝে। আর সেই রকম ঘটনার জন্ম দিয়ে মহিলা  এনজিওর মাঠ  পর্যায়ের চাকুরীটা করেছে চরম বিতর্কিত। নারী লোভী এজাতীয় নষ্ট চরিত্রহীন মালিকের কারণে কুমারী বালিকারা নিরাপদ নয়।
পিরোজপুর সদর সহ ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর, কাউখালি, জিয়া নগর ও নেছারাবাদ উপজেলার আনাচ কানাচে এন জি ওতে  নারীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে নারীর শরীরের স্বাধ নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে।
জলাবাড়ী, আটঘর কুডিয়ানা, সারেংকাঠী, গুয়ারেখা, সুটিয়াকাঠী,সোহাগদল, বলদিয়া ও স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের মধ্যে একের পর এক নারীদের নিয়ে নানান কায়দায় বিতর্কিত হচ্ছে।
আউরিয়ার এন জিও মালিক মুনিরের মত বহু মুনির ভদ্রতার আড়ালে সুকৌশলে নারীদের নিয়ে বেআইনী ভাবে আমোদ ফুর্তি করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আউরিয়ার বহু বাসিন্দারা গণ মাধ্যম কর্মী দের বলেন, এন জি ও কর্মীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার পর কোন কোন এনজিও মালিক স্থানীয় রাজনীতির নেতাদের আশ্রয় নিয়ে আপাতত নিজেকে সেইফ করে।
আবার কেহ কেহ স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সমজোতা বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। আবার কেহ কেহ কিছু  কিছু সাংবাদিক কার্ডধারীদের ব্যাবহার করে স্ব স্ব মালিকদের অপকর্মের কালিমা ডাকতে চায়। তবে ভিন্ন কথা বলেন জেলা সুশীল সমাজের বেশীরভাগ লোকজন।
তারা গণ মাধ্যম কর্মীদের অকপটে বলেন আসলেই এজাতীয় স্থানীয় এন জি ও মালিকদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।
এদিকে জেলার ব্রাক সহ আশা, উদ্দিপনের বহ দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যানেজাররা বলেন আসলেই স্থানীয় পর্যায়ে বেশকিছু এন জি ও মালিকরা নিজ নিজ অফিস নারী কর্মীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
আসলে আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া যায় বিদায় দিনের পর দিন বেআইনি কাজ কর্ম করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হয় বিভাগের সমবায় কর্মকর্তার সাথে।
তিনি অকপটে বলেন আমরা লাইসেন্স দেই কিন্তু সমবায় আইন কানুন উপেক্ষা করে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক লেনদেন করে। আসলে এটা চরম অপরাধ।
তবে ভিন্ন কথাও বলেন, মাঠ পর্যায়ে আমাদের জনবলের ঘাটতির কারণে স্থানীয় পর্যায়ে সমবায়ের মাধ্যমে  লাইসেন্স নেওয়া এনজিও গুলোর উপর নজর ধারী হয়না।
আবার অনেক এনজিও বড় বড় রাজনৈতিক দলের নাম ব্যাবহার করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন । আবার কেহ কেহ বিশাল বিশাল সাংবাদিক সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে এজাতীয় স্থানীয় এনজিও মালিকরা প্রতিষ্ঠান ব্যাবহার করে কৌশলে ।
আর সেই কারণে  উপজেলা সমবায় অফিস মাঝে মাঝে কিছু করতে চায়।  কিন্তু স্থানীয় ভাবে এক পর্যায়ে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা  না করে নিজেদের গুটিয়ে নেয় ।
আস সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু কিছু স্থানীয় মালিকরা নারী নিয়ে আমোদ ফুর্তি করতেও সাহস পায়।সর্বশেষ তথ্য মতে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে সাইনবোর্ড বিহীন আউরিয়ার রুপালী সমবায় সমিতির  এন জি ও মালিক মোঃ মুনিরের বেআইনি কর্মকাণ্ডের এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে বর্তমানে স্থানীয় এন জিও মালিক পক্ষরা মুনিরের বেআইনি কর্মকাণ্ডের কারণে বেশ চিন্তিত।
সামাজিক ভাবে মাথা নত হওয়ার উপক্রম। তবে মুনিরের স্ত্রী প্রথম থেকেই সমস্ত ঘটনার কথা অস্বীকার করে আসছে।
তবে সর্বশেষ তথ্য মতে কামারকাঠীর  ঐ এনজিও কর্মী আপাতত দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিদায় এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন বিয়ে দিতে বাধ্য হয় বলে জানা যায়।