নিজস্ব প্রতিবেদক: মুলাদীতে জমি দখল করতে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা এবং বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় পান বরজ ব্যবসায়ী সুনিল মালি, তার স্ত্রী বাসন্তি মালী এবং সরস্বতী মালি গুরুতর আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে মুলাদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এর আগে রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার তেরচর বেইলী ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ‘সুনিল মালির রেকর্ডিয় জমির পাশে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা আক্তার বেপারীর ডিসিআর সম্পত্তি রয়েছে। সেই জমির পাশে থাকা সুনিল মালির রেকর্ডিয় জমির আংশিক এর মালিকানা দাবি করেন আক্তার বেপারী।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে সালিশ মিমাংসায় বসলে আক্তার বেপারী নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং সুনিল মালির জমির মধ্যে তার কোন জমি নেই বলে মুচলেকা দেয়।
সুনিল মালির স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ‘সালিম মিমাংসার পরেও রোববার দুপুর ১টার দিকে সুনিল মালির বসত ঘর ভেঙে জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেন সুনিল মালি, বাসন্তী মালি এবং সরস্বতী মালি।
ক্ষুব্ধ হয়ে মৃত মজিবুর হক হাওলাদারের ছেলে আক্তার হাওলাদারের নেতৃত্বে তার ছেলে আসিফ হাওলাদার, আবিদুর কাজীর ছেলে আকিব, হুমায়ন হাওলাদারের ছেলে রোটন হাওলাদার, আব্দুস ছালাম সরদারের ছেলে আপেল সরদার, মৃত সত্তার দফাদারের ছেলে শহীদ দফাদার ও মৃত খোকন সরদারের ছেলে সজিব সরদারসহ তাদের সহযোগিরা সুনিল ও তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
খবর পেয়ে মুলাদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ‘বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সুনিল মালির বসতঘর পুড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই বাড়িতেই এবার সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘বাড়ি ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এক পক্ষ রাস্তা তৈরি করার জন্য বিরোধীয় জমি পরিস্কার করছিলো।
এসময় অপর পক্ষ এসে তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তখন একজন লাঠি দিয়ে অপর পক্ষকে আঘাত করলে একজন রক্তাক্ত জখম হয়। তবে এই ঘটনায় দুই পক্ষই আহত হয়েছে। ভাংচুরের অভিযোগ করে থাকলে সেটা সত্যি নয় বলে জানান ওসি।