কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারীর মধ্যে প্রবাহিত দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প ১০ আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ ৬৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা অনুমোদন হয়।
ফলে নদীতীরের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ধরলা নদী ভাঙন রোধে ৩ মার্চ ২০২০ খ্রিঃ একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হলেও প্রকল্পের জিও জারী হয় জুলাই ২০২০ খ্রিঃ। বর্তমানে ৩৮ টি প্যাকেজে প্রায় ২৮ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ৫৯৫ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে সোনাইকাজীতে আড়াই কিলোমিটার, সদর উপজেলার বাংটুরঘাটে সাড়ে তিন কিলোমিটার, মোগলবাসায় ৩ কিলোমিটার, হিমেরকুটি ও শিবেরকুটিতে ১ কিলোমিটার, ভোগডাঙ্গায় ৩ কিলোমিটার এবং সারডোব নদীতীরে ৮ শত মিটার এলাকা নদী ভাঙন রোধে কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে এবং অগ্রগতি সন্তোষজনক।
যার ফলশ্রুতিতে উক্ত এলাকাসমূহ বর্তমানে বন্যাকালীন সময়ে সম্পন্ন নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্ত রয়েছে। এছাড়া উক্ত কাজসমূহ জুন ২০২২ খ্রিঃ মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। তখন উক্ত এলাকার মানুষ নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্ত ও প্রকল্পের সুফল ভোগ করবে।
নদীতীর এলাকার স্থানীয়রা বলেন, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক প্রচেষ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর ডান-বামতীর নদীতীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণ চলমান থাকায় বর্তমানে বন্যাকালীন সময়ে আমরা সম্পন্ন নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্ত রয়েছি। একনেকে দুধকুমার নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব রুহুল আমিন দুলাল বলেন, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ধরলা নদী ভাঙন রোধে একনেকে প্রকল্পে নদী রোধে কাজ চলমান রয়েছে।
প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকায় ভাঙন অনেকটা কমে গেছে এবং প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন শেষ হলে বিভিন্ন স্থাপনা ও কৃষি জমি নদ-নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। নদীপারের মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন হবে দেখবে তারা সুখের মুখ।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকআমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, কুড়িগ্রামের মানুষ প্রতিবছর নদী ভাঙনে কারণে অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কষ্ট লাগব করতে একনেকের প্রকল্পের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নদী ভাঙন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
ফলে নদীতীরের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। কুড়িগ্রাম জেলার আওয়ামীলীগ ও কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর ডান বামতীর সংরক্ষণ ও বাঁধ নির্মাণের কাজ বিধি মোতাবেক চলমান রয়েছে।
আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছি। করোনা মহামারি সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা নদী ভাঙন রোধে কাজ করছি।
আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। একনেকের দুধকুমার নদী বস্থাপনা ও উন্নয়ন অনুমোদিত প্রকল্পে ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ শুরু হবে।