• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১লা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রাম চিলমারী ব্রহ্মপুত্রের তীরে লাখো পুণ্যার্থীর মিলনমেলা, সম্পন্ন হলো অষ্টমী স্নান”

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত এপ্রিল ৬, ২০২৫, ২০:২০ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রাম চিলমারী ব্রহ্মপুত্রের তীরে লাখো পুণ্যার্থীর মিলনমেলা, সম্পন্ন হলো অষ্টমী স্নান”

এম এম আল মামুন, কুড়িগ্রাম॥ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী স্নান সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রমনা নৌবন্দর থেকে জোড়গাছ পুরাতন বাজার পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে পূজা কমিটির আয়োজনে ব্রহ্মপুত্র নদে ধর্মীয় এ স্নান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাচীনকাল থেকে প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে এই ধর্মীয় আয়োজন হয়ে আসছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির চিলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি শচীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, শনিবার ভোর ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অষ্টমীর প্রহর থাকলেও সর্বোত্তম স্নানের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় পাঁচ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগমে এবারের আয়োজনও ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত।

স্নানকে কেন্দ্র করে উপজেলার জোড়গাছ, গুড়াতিপাড়া, টোলর মোড়, বাঁধের মোড়, জোড়গাছ পুরাতন বাজার, নতুন বাজার ও চিলমারী বন্দর সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ভক্তদের ঢল নামে।

বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অটো ও মোটরগাড়ির পাশাপাশি ট্রলার ও নৌকাযোগে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে পূণ্যার্থীরা সমবেত হন।

স্নান করতে আসা শ্রী রতন চন্দ্র, শ্রী সুশিল চন্দ্র ও উত্তম কুমারসহ অনেকেই জানান, তারা আগের বছরও এসেছিলেন, এবারও এসেছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে স্নান সম্পন্ন করতে পেরেছেন। এবারের আয়োজন বিগত বছরের তুলনায় আরও বড় পরিসরে হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক জানান, অষ্টমী স্নান উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন ছিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে টহল জোরদার করা হয়।

এছাড়া বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নলকূপ স্থাপন এবং পূণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য শতাধিক কাপড় বদলানোর তাবু টাঙানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।