• ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কি দোষ ছিলো আমার আর আমার দুধের শিশুর ?

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ৮, ২০২১, ২২:০৭ অপরাহ্ণ
কি দোষ ছিলো আমার আর আমার দুধের শিশুর ?

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ঢাকা, টংগী গাজীপুর জেলার, মুদাফা মধ্যে পাড়া, নিশাত নগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার বাসিন্দা রেহানুল ইসলাম রনি পিতাঃআবুল খায়ের।ফেসবুকের মাধ্যমে ২০১৬ সালে পরিচয় হয় একই এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের মেয়ে রেজওয়ানা হাবিব রিপার সাথে। অতঃপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।

আর সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই তারা বিয়ের জন্য দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের মতামত থাকলেও পরিবার মেনে নিতে চাইনি তাদের সম্পর্ককে ও মত দিতে চাইনি তাদের বিয়েতে।অনেক কষ্ট ও চেষ্টা করে পরিবারকে মানিয়ে বিয়ে ২০১৮ এর মার্চে দুই পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করে। সুখ স্বাচ্ছন্দ ও ভালবাসায় চলছিল তাদের পরিবার। রিপার গভীর বিশ্বাস ও ভরসা ছিলো তার স্বামীর উপর।

সব কিছু ঠিক ছিলো। ঘটনাচক্রে রিপার এক বান্ধবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় রিপা তার স্বামীকে। পরে ফেসবুকে যুক্ত হয় রনি ও রিপার সেই বান্ধবী। এক পর্যায়ে তারা জড়িয়ে যায় অবৈধ সম্পর্কে । এবং রনি তার বউ এর বান্ধবীকে নিয়ে কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় এবং হোটেলে একসাথে সময় কাটায় ৷

এরপর হঠাৎ করে তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে রিপার বন্ধুবীর স্বামী। এবং সে ঘটনাটি রিপাকে জানায়। স্বামীর প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকার কারণে প্রথম ভুল হিসেবে তার পরিবারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করে দেয় রিপা ৷

এর অন্যতম কারণ কারণ ছিল রিপা তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাদের ঘরে আসে রামিসা ইসলাম রওজা ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। মেয়ে হওয়ার পরে রনির চাকরি হয় রেনেটা গ্রুপের মালিকের বাসায়, উত্তরা ৭ং সেক্টরে। ভালোই চলছিলো সব।

রিপা ভেবেছিলো সব ঠিক হয়ে গেছে। বিয়েতে ১০ লাখ টাকা, ফার্নিচার আর ১০ ভরি স্বর্ন দাবী করা হয়েছিলো রনির পরিবারের পক্ষ থেকে। তখন সব দিতে পারেনি রিপার পরিবার কিন্তু আস্তে আস্তে সবই দিয়ে দেয় তারা। কিন্তু চাকরি করাকালীন রনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে রিপার পরিবারের কাছে আরো ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে।

এবং এর জন্য অনেক নির্যাতনের শিকার হয় রিপা। একপর্যায়ে বাবার বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাকে তখন বাচ্চার বয়স মাত্র ৫ মাস। টাকার জন্য বাড়িতে চলে এলেও টাকা ব্যবস্থা করতে পারেনি রিপার বাবা। কারণ রিপার রয়েছে ট্স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া বাবা। কোন অবস্থাতেই সামর্থ ছিলনা মেয়ের জামাইয়ের দাবি পূরণ করা। বার বার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলো রনি।

কিন্তু টাকা দিতে পারছিলো না রিপার পরিবার। এর মধ্যে ২০২০ ডিসেম্বরে হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় রনি। তার কোনো খোজ না পেয়ে তার কাজের জায়গায় খোজ নিতে যায় রিপা ৷ গিয়ে জানতে পারে সে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। এবং আরো জানতে পারে তার স্ত্রী নাকি এখানে তার সাথে দেখা করতে আসতো নিয়মিত।

কিন্তু রিপা তার আসল বিয়ে করা স্ত্রী আর সে কখনো আসিনি দেখা করতে, তাহলে কে আসতো? অতঃপর রিপা কোন উপায় না পেয়ে কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। যার মামলা নং সি আর ৬৪৯/২০২০ গাজীপুর। তারপরে রনির বাড়িতে তার বাবা মাকে নিয়ে মুরোব্বিদের নিয়ে শালিস বসে৷ আর সেখানে আশ্বাস দেয়া হয় তারা তাদের ছেলেকে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু আজকে ৫ মাস হল কোনো খবর নেই রনির।

রিপা বুঝতে পারে তাদের ছেলেকে তারা পরিকল্পিত ভাবেই সরিয়ে দিয়েছে। এবং তার শ্বশুর শ্বাশুড়ি তাকে বার বার তাড়িয়ে দিয়েছে এবং লাঞ্চনা গঞ্জনা দিয়েছে।
বার বার শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করার পরেও তারা কোন ধরনের সাহায্য করেনি রিপাকে। রেজানা হাবিব রিপা আর তার ১০ মাস বয়সী মেয়ে এখন অসহায়। বাবা থাকতেও আজ এতিমের মতো ফুটফুটে শিশু রামিসা ইসলাম রওজা।

রিপার আহাজারি করে জানায় কি দোষ ছিলো আমার আর আমার দুধের শিশুর??? শুধু টাকা দিতে পারিনি বলে কি আমার সাথে তারা এমন করলো?
যে পরিমান অর্থ সম্পদ আমার থেকে আত্মসাৎ করেছে তা থাকলে আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করার দরকার পরতো না।

তাই আমার দাবী এই প্রতারক কে আইনের আওতায় আনা হোক। এবং আমার সন্তানের এবং আমার সমস্ত খোরপোষের ব্যবস্থা করা হোক। আর রিপা জানায় আমি কিছুই চাই না আমি ফিরে পেতে চাই আমার সেই সুন্দর পরিবারটি আরো দিতে চাই আমার সন্তানকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ। আরো আকুতি করে রিপা জানায় আমি একটি অসহায় মেয়ে। আমার বাবা প্যারালাইজড। সাহায্য করার মত কেউ নেই আমার।

আমি সরকার, প্রশাসন ও সকলের কাছে অনুরোধ করছি আমাকে সুষ্ঠু বিচার প্রদান করার জন্য এবং আমার সুন্দর পরিবার ফিরে পেতে এবং আমার সন্তানের সুন্দর এবং নিশ্চিত ভবিষ্যৎ পাওয়াতে সাহায্য করার জন্য