বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল: মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর আশ্বাসে দুই দিন পরে অবশেষে নগরী থেকে ময়লা অপসারণ শুরু করেছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। শনিবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও বাসা-বাড়ির আশপাশ থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ শুরু করেন তারা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেছেন, বুধবারের ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের করা হয়রানিমূলক মামলার পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা নিজ বাসা-বাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
এতে নগরীর ময়লা-আবর্জনা অপসারণ হচ্ছিল না। কিন্তু আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টায় মাননীয় মেয়র সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আশ্বস্ত করেন। সেই সঙ্গে তাদের যেন হয়রানি না করা হয়, সে জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
মূলত মেয়রের আশ্বাস পেয়েই পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ফিরে এসে কাজ শুরু করেছেন। জনগণের ভোগান্তি লাঘবেই মেয়র এই আহ্বান করেছেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, রাতের মধ্যেই নগরীর সবি ময়লা-আবর্জনা অপসারণ হয়ে যাবে।
নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, তিন দিন ধরে ময়লা-আবর্জনা জমে ছিল সড়কের ওপর। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। কিন্তু তা পরিচ্ছন্ন করতে মেয়র উদ্যোগী হয়েছেন, এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।
এর আগে দুপুরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সদর রোডে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনর সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি পুলিশের এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। মামলায় ৬০২ জনকে আসামি করা হয়।
উভয় মামলার ১ নম্বর আসামি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। মামলায় এখন পর্যন্ত কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাস মালিক সমিতির সভাপতি, শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।