বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ।। বরিশাল নৌ বন্দরের ৩নং গেটের প্রবেশ পথটি যেন এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। প্রবেশ পথটির মুখে ছড়ানো ছিটানো রয়েছে ময়লার স্তূপ।
আর এই ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের জীবন। অন্যদিকে চলাচলেরও অনুপযোগী হয়েছে নৌ বন্দর ও চরকাউয়া খেয়াঘাট কাঁচাবাজারের প্রবেশ পথটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বরিশাল নৌ বন্দরে প্রবেশের ৩নং গেটের সম্মুখে একটি ময়লা আবর্জনা ফালানোর জন্য ডাস্টবিন নির্মান করা হয়েছে।
আর নির্মানকৃত ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনায় চরকাউয়া খেয়াঘাট কাঁচাবাজার ও নৌ বন্দরে প্রবেশের রাস্তাটিও এখন চলাচলের অনুপোযোগী ।
ডাস্টবিনের ময়লায় সর্বক্ষনই রাস্তাটি অপরিচ্ছন্ন ও কর্দমাক্ত থাকে। আর ময়লা অাবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ও বিপর্যস্ত স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বেশ কিছুদিন পূর্বে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ময়লা আবর্জনা ফালানোর জন্য নৌ বন্দরের ৩নং গেটের প্রবেশ মুখে একটি ডাস্টবিন নির্মান করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আর পরিকল্পনা ছাড়া এটা নির্মান করায় উপকারের থেকে ভোগান্তিই বেশি পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে এ ভোগান্তি এখন চরমে পৌঁছেছে।
যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে এখানে ব্যবসা করা তো দূরের কথা চলাচল করাটাই দায় হয়েছে। এখানে থাকাটাই দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে এখন।
এখন তো নৌ বন্দরে প্রবেশ মুখের রাস্তাটিও ময়লা আবর্জনায় দখল করে নিয়েছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানান, এ রকম জনসমাগম স্থানে এরকম ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিন স্থাপন একেবারেই ঠিক হয়নি।
এতে ব্যবসায়ী ও জনসাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এখন দুর্গন্ধে মারাত্মক রোগজীবানু ছড়াতে পারে। তবে এসবেও টনক নড়েনি বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তার।
তিনি সব দেখেও না দেখার ভান করে আছেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা । তারা এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রান পেতে ও ব্যবসায়ীক পরিবেশ সৃষ্টিতে বন্দর কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পূর্বে ওখানে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মানাধীন ডাস্টবিন ছিলো, সেটা ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ওখানে পুনরায় নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ডাস্টবিন নির্মান করা হয়েছে।
যেহেতু বর্তমানে নদী বন্দরের অভ্যন্তরে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ চলছে। এরপরে খুব শীঘ্রই নৌ বন্দরে প্রবেশের সম্মুখে অর্থ্যাৎ ডাস্টবিনের পাশের রাস্তার কাজ করা হবে এবং ডাস্টবিন ওই স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।