• ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরগুনায় অপারেশন থিয়েটারে প্রসূতির চিৎকার, পরে মৃত্যু

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩, ১৯:২২ অপরাহ্ণ
বরগুনায় অপারেশন থিয়েটারে প্রসূতির চিৎকার, পরে মৃত্যু

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ বরগুনায় সিজারিয়ান অপারেশনের পর এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের অভিযোগ, অচেতন না করেই ওই নারীকে অস্ত্রোপচার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের কুয়েত প্রবাসী নামের একটি হাসপাতালে। বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ওই প্রসূতির নাম তানজিলা আক্তার পুতুল (২৮)। তিনি সদর উপজেলর ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম সরোয়ার পনুর মেয়ে। তানজিলা বরগুনা সদরের ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের গৌরিচন্না গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

অভিযুক্তরা হলেন গাইনি চিকিৎসক মুনতাহা মারিয়াম ও সাফিয়া পারভীন।

স্বজনদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রসব বেদনা উঠলে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে প্রসূতি তানজিলা আক্তারকে বরগুনা সদর উপজেলার কুয়েত প্রবাসী হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করেন। পরদিন দুপুর ২টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় পুতুলকে। তিনি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। পরে শিশুটিকে স্বজনদের কাছে দিলেও কাউকে রোগীর কাছে যেতে দেওয়া হয়নি।

অপারেশন থিয়েটারের বাইরে থাকা স্বজনরা পুতুলের চিৎকার শুনতে পান। কিছুক্ষণ পরেই তা নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এর দেড়ঘণ্টা পরও পুতুলের সঠিক কোনো তথ্য না জানতে পারায় স্বজনরা অপারেশন থিয়েটারে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এতে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত সটকে পড়েন।

অচেতন অবস্থায় পুতুলকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। বুধবার ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের খালা লাকি বেগম বলেন, সিজারিয়ান অপারেশনে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন পুতুল। কিন্তু অপারেশন থিয়েটারের বাইরে থেকে আমরা পুতুলের চিৎকার শুনতে পাই। আমরা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমাদের ধারণা, রোগীকে অপারেশনের জন্য ঠিকভাবে অচেতন করা হয়নি।

এ বিষয়ে বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ ফজলুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ভুল চিকিৎসার কারণে যদি রোগী মারা যায় তবে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।