রোববার সকালে উপজেলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের শশিদ গ্রামে মালি বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। দীপা পাশ্ববর্তী শেখেরহাট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। সে ওই গ্রামের মৃত দীনেষ মালীর মেয়ে।
স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, দীপা বেশ কিছুদিন যাবত কলেজের এ্যাসাইনমেন্টের জন্য তার পরিবারকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার জন্য বায়না ধরে আসছিল। করোনাকালিন স্কুল বন্ধ থাকায় প্রায়ই কলেজের এ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার জন্য দীপা ফোনের জন্য মা ভাইকে বলে আসছিল।
তার পরিবার খুবই অভাবি হওয়ায় ফোন কিনে দিতে পারছিলোনা। এক পর্যায়ে দীপা রাগন্মিত হয়ে আবারও গত শনিবার রাতে ফোনের জন্য পরিবারকে চাপ দেয়।
এতে তার মা তাকে গাল মন্দ করে ফোন দিতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে দীপার মা ঘর থেকে কাজে বের হয়। সকাল দশটার দিকে ঘরে এসে তারা দীপাকে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত পান।
নেছারাবাদ থানার ওসি তদন্ত মো: সোলাইমান মেয়েটির মায়ের বরাত দিয়ে জানান, মেয়েটির পরিবার খুবই গরীব। সে স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। কলেজে তার পরীক্ষার এ্যাসাইনমেন্টের জন্য শনিবার রাতে মাকে ফোন কিনে দেয়ার জন্য বলেছিল।
তার মা ফোন কিনে দিতে না পেরে মেয়েকে বুজিয়ে বলে রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তার মা জমির পেপে ক্ষেতে মাটি দেয়ার জন্য বের হয়। পরে বাসায় এসে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচানো মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেন।