• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ঝালকাঠিতে ৬ বছর ধরে ভাঙা ব্রিজ, দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ১৬:১৬ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠিতে ৬ বছর ধরে ভাঙা ব্রিজ, দুই গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল: ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে আদাখোলা-ভাতকাঠি দুই গ্রামের হাজারো মানুষ। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃধা বাড়ির সামনের এই ব্রিজটি নিয়ে ভোগান্তিতে এলাকাবাসী।

স্থানীয় মো. সত্তার মৃধা, আ. হাকিম আকন, হাবিবুর রহমান, রিপন মৃধা ও সাইফুল মৃধাসহ এলাকার একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, আনুমানিক ১৯৯৯ সালে লোহার কাঠামোর ওপর পাটা দিয়ে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

গত ছয় বছর আগে থেকে ব্রিজটির পাটা ভেঙে যেতে থাকে এবং লোহার কাঠামো একদিকে হেলে পড়তে থাকে। বর্তমানে এলাকার বৃদ্ধ, শিশু ও নারীসহ সকল লোকজন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসী আরও জানান, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে একাধিকবার গেলেও আশ্বাসের বাণী ছাড়া কিছুই পাননি তাঁরা। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কিছুদিন আগে উপজেলা পরিষদ সদস্যরা একবার এসে ব্রিজটির ভঙ্গুর অবস্থা দেখে গেছেন। ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই এলাকাবাসী।

ওই ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদার সাবেক ইউপি সদস্য মো. হাসান বলেন, এলজিএসপি এর ষাট হাজার টাকা ব্যয়ে লোহার কাঠামোর ওপর পাটা দিয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ব্রিজটি ভেঙে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছে। ব্রিজটি নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

এ বিষয়ে বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার শুরু মিয়া বলেন, শুনেছি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু ওই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য স্টিমেট করিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারি না।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু বলেন, ওই ব্রিজটিসহ বড়ইয়া ইউনিয়নে মোট তিনটি ব্রিজের বরাদ্দ পাস করানো হয়েছে। এখন শুধু টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে।