আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাজমা বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত নাজমাকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
জানাগেছে, উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের হোসেন মৃধা ও তার চাচাতো ভাই নাশির মৃধার মধ্যে দের একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
ওই জমিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হোসেন মৃধা তার লোকজন নিয়ে চাষাবাদ করতে যায়। জমি চাষে বাধা দেয় নাশির মৃধার স্ত্রী নাজমা বেগম।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হোসেন মৃধা, তার ছেলে রুবেল, শাহীন ও জাকারিয়াসহ ৭-৮ জন মিলে নাজমা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহত নাজমাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে নাজমার অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
আহত নাজমা বেগমের স্বামী মো. নাশির মৃধা বলেন, আমার দের একর জমি আমার চাচাতো ভাই হোসেন মৃধা জোরপুর্বক ভোগদখল করে আসছে।
এতে আমার স্ত্রী বাঁধা দিলে হোসেন মৃধা ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে আহত করেছে।
অভিযুক্ত হোসেন মৃধার ছেলে রুবেল মারধরের কথা অস্বীকার করেন। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় বলেন, নাজমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন,অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।