• ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বারবার ভাঙনে নিঃস্ব রাজাপুরের বিধবা দুধমেহের

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত আগস্ট ৫, ২০২৩, ১৭:১৪ অপরাহ্ণ
বারবার ভাঙনে নিঃস্ব রাজাপুরের বিধবা দুধমেহের

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ তখনও ঘুমে ছিলাম। পাড়ার লোকজনে চিল্লাচিল্লি করে আমারে উঠাইছে। বলছে বুড়ি তোমার ঘর গেছে, তুমিও ডুইবা যাবা। তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসো। হইচই চিল্লাচিল্লি শুনে কাঁথার গাঁহট নিয়ে বের হইছি। আর কিছু নেবার পাই নাই। সব শেষ হয়ে গেছে। কথাগুলো বলছিলেন ঝালকাঠির রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা স্কুল এলাকার সত্তর বছর বয়সী দুধমেহের বেগম। গত বৃহস্পতিবার সকালে বিষখালীর ভাঙনে তলিয়ে যায় তাঁর একমাত্র আশ্রয়স্থলটি।

মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা স্কুল এলাকায় সরকার থেকে পাওয়া ছোট্ট ঘরটিতে বাস করছিলেন বিধবা দুধমেহের বেগম। এর আগে স্বামীর বাড়ি দুইবার ভেঙেছে। এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া জায়গায় খুপরি বানিয়ে থাকতেন। সিডরে তাও উড়িয়ে নেয়। সরকার একটি ত্রাণের ঘর দেয়। এবার সে ঘরটিও বিলীন হয়েছে। এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

দুধ মেহেরের মতো ভাঙন আতঙ্কে আছেন বিষখালী নদীসংলগ্ন বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দারা। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধিতে ভয়াবহভাবে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিলীন হয়েছে বসতঘর, গাছ, ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ আবাসিক এলাকার কয়েকশ একর জমি।

মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও নদীর পানি বাড়ায় ভয়াবহভাবে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিলীন হচ্ছে বসতঘর, গাছ, ফসলি জমি, রাস্তাঘাটসহ আবাসিক এলাকার কয়েকশ একর জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম নিলয় পাশা বলেন, নদী ভাঙন রোধে ৮৫৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।