বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল: বরিশাল নগরীসহ জেলায় পোষা প্রাণী ও বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জলাতঙ্ক ভ্যাকসিনের চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সেবা দেওয়া একমাত্র সরকারি কেন্দ্র বরিশাল সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন না পেয়ে বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আক্রান্তদের।
গত ১০ দিনে বরিশাল নগরীতে প্রায় অর্ধশত পথচারী বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও রয়েছে বাসাবাড়িতে পোষা বিড়ালের আঁচড়। পশু-পাখির কামড় ও আঁচড়ে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার শঙ্কা থাকে। জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন শুধু বরিশাল সদর হাসপাতালে পাওয়া যায়।
বরিশাল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল জানান, কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে গত বছর এই সময়ে যেখানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন আসতেন। এ বছর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ জনে। আক্রান্তদের তিন থেকে পাঁচ ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হয়।
গত ১৫ দিনে সদর হাসপাতালের বুথে আক্রান্ত হয়ে শুধু প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন প্রায় ১ হাজার বাসিন্দা। বছরের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সিএমএইচডি’ থেকে মোট চাহিদার ভ্যাকসিন একবারে কখনই দেওয়া হয় না। তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগে ভ্যাকসিন না পেয়ে আক্রান্তরা বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ বিষয়ে বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন কখনোই পাওয়া যায় না। অধিদপ্তরে ৫ হাজার চাহিদা দিলে সরবরাহ হয় ২ হাজার ডোজ। এ ছাড়া এই ভ্যাকসিন আনতে হয় বরিশাল থেকে ঢাকা গিয়ে। যে কারণে বাড়তে থাকা আক্রান্তের চাপ সামলানো আরও কঠিন হয়ে পড়ছে দিন দিন।
সমস্যা সমাধানে জেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। তবে কোনো সুফল মেলেনি।