• ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বৈরী আবহাওয়ার ফলে ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশির তীব্রতা বৃদ্ধি

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ৩, ২০২৪, ২০:৩৫ অপরাহ্ণ
বৈরী আবহাওয়ার ফলে ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি কাশির তীব্রতা বৃদ্ধি

আরশাদ মামুন: তীব্র দাবদাহ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে ভোলার লালমোহন উপজেলার ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। উপজেলার অন্তত ৮০ শতাংশ পরিবারের একাধিক সদস্যও জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। তিন থেকে সাতদিন জ্বর-সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কের সংখ্যা বেশি। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই থেকে আড়াইশ রোগী সেবা নিচ্ছেন। গড়ে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন ২০ জনেরও অধিক রোগী।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, আমার পরিবারে মোট ৪ সদস্য। প্রথমে আমার স্ত্রী জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়। এরপর আক্রান্ত হয় আমার দুই ছেলে-মেয়ে। সর্বশেষ আমি নিজেও এতে আক্রান্ত হই। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তাপমাত্রা অধিক হারে বাড়ায় এসব রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের কাছে এসেছেন মোসা. আয়েশা বেগম। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই আমার ছোট সন্তানটি জ্বরে ভুগছে। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়ার পরেও কমছে না। তাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি।

এখানে ডাক্তার দেখিয়ে নতুন করে ওষুধ নিয়েছি। জাহিদুল ইসলাম বলেন, চারদিকে কেবল জ্বর, সর্দি আর কাশিতে আক্রান্ত রোগীর কথা শুনছি। এমনকি আমার ঘরের প্রত্যেক সদস্য জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাদের ওষুধ খাওয়াচ্ছি। এই সময়ে জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে আক্রান্ত রোগী এতো বেড়েছে যা কল্পনারও বাইরে। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য মায়ের সঙ্গে আসা শিশু লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য মায়ের সঙ্গে আসা শিশু লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অতনু মজুমদার বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, গত এক মাস ধরে উপজেলার অধিকাংশ পরিবারেই জ্বর, সর্দি, কাশি, শরীর ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে।

মূলত আবহাওয়া পরিবর্তন ও চলমান তাপপ্রবাহের কারণেই এমনটা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন রোগীরা। আক্রান্তদের লক্ষণ অনেকটা ডেঙ্গুর মতোই। তাই আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। এছাড়া সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেসব ওষুধ সরবরাহ রয়েছে রোগীদের তা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এমন অবস্থায় খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরেই থাকা ভালো। এছাড়া প্রত্যেককে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। কারও যদি জ্বর এবং শরীর ব্যথা দেখা দেয় তাহলে তাদের প্রাথমিক অবস্থায় কেবল প্যারাসিটামল খেতে হবে। এরপর দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে যদি এসব জটিলতা না কমে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।