নিজস্ব প্রতিবেদক : গেলো ১৫ বছর ধরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে জেকে বসা দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের সাময়িক বরখাস্তসহ বিভিন্ন দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর এরাই বিভিন্ন দপ্তর থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধুমাত্র ভূয়া জনবলের বেতন বাবদ লুটপাট হয়েছে কয়েক’শ কোটি টাকা। বছরের পর বছর ধরে এই লুটপাট চলতে থাকায় সেবাকারী প্রতিষ্ঠানটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রথমবারের মত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বর্তমান মেয়র।
প্রতি বছর ভুয়া এক হাজার কর্মচারীর বেতন বাবদ বছরে সাড়ে ৮ কোটি টাকা খরচ হতো সিটি কর্পোরেশনের। আর এ অবস্থা বছরের পর বছর ধরে চলে আসায় কয়েক’শ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে শুধুমাত্র একটি খাত দিয়েই। এছাড়া যানবাহনের জ্বালানি খাতে মাসে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও এখন তা নেমে এসেছে ৫ লাখ টাকায়। যন্ত্রাংশের বিল ভাউচার তৈরী করেও চালানো হয়েছে লুটপাট। ৬ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স না করিয়ে চুরি ও ঘুষে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা বছরে লুটপাট হয়। এছাড়া স্টল বরাদ্দ থেকে শুরু করে হাট বাজার থেকেও বিপুল অংকের টাকা আত্মসাত হয়েছে।
আর এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ২৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভিন্ন দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুদককে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
দুর্নীতি বন্ধে প্রথমবারের মত কাউন্সিলরদের ঠিকাদারী কাজ বন্ধ করে এলাকাবাসীর সেবায় কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, বললেন প্যানেল মেয়র।
এদিকে, আর্থিক কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতার দাবি জানালেন টিআইবি সভাপতি। আর মেয়র বললেন, দীর্ঘদিনের দুর্নীতি অল্প সময়ের মধ্যে দূর করা সম্ভব নয়।
দুর্নীতিবাজদের উচ্ছেদ করে নগরবাসীর সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে দক্ষ জনবল নিয়োগের দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।