কামরুন নাহার সালমা ॥ বরিশালনগরীর বিএম কলেজ ক্যাম্পাসেসাদেকের রাজনৈতিক অস্ত্রবাজি ওপ্রলোভনের ঘেড়াটোপে দিশেহারানারীদের দেখার যেন কেউ নেই। তারলোলুপ দর্শনেই ধর্ষনের শিকার হতেহয়েছে এক নারী শিক্ষার্থীর। ক্ষমতাসীনদলীয় প্রভাব আর ক্যাম্পাস রাজনীতিরকুটকৌশলকে টোপ বানিয়ে নারী খেকোহয়ে ওঠা সাদেকের এখন লাগামছাড়া।ভুক্তভোগী সুত্র আরো জানায়, কলেজছাত্রী নিবাস বনমালী গাঙ্গুলীতে সিটআর উচ্চ মাধ্যমিক সনদ দিয়ে সরকারিচাকুরী পাইয়ে দেয়া সহ প্রেমের ফাদেফেলে সম্ভ্রব লূন্ঠন করা নারী শিক্ষার্থীআত্মহননকে বেছে নিতেও পিছ পাহচ্ছেনা। সামাজিক লোক লজ্জ্বারঅসহায়াত্ব পুজি করে সাদেকের কতৃকনিগৃহীত হওয়ার চরম দৃশ্যপট মানসপটেচাপা দিতে বাধ্য হচ্ছে একাধিক নারীশিক্ষার্থী। বিশ্বস্ত সুত্রমতে জানা গেছে যেবি এম কলেজের এক নারীকেউচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাংকেচাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তারসাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় এবংবলে চাকরি হয়ে যাবে।কিন্তু চাকরি তোদুরের কথা তার সাথে আর কখনো দেখাকরার ও সুযোগ পায়নি ঐ নারী।সাদেকের ক্ষমতার দাপটে সে এতদিন চুপছিল।বিশ্বস্ত সুত্র পাওয়ায় এখন সে মুখখুলেছে।অনুসন্ধানসূত্রে আরো জানাগেছে, নগর যুবলীগের পদে থাকলেওক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাম্পাসজুড়েতৈরী করেছে ইভটেজার বাহিনী। এবাহিনীতে রয়েছে আকিব, রবিন, সুরুজ, কীর্র্ত্তণ ও মানিক। ক্যাম্পাসে পছন্দমতোনারী শিক্ষার্থীদের অনুসরণ করা এবংতাদের অসহায়ত্বর সুযোগ নিয়েপ্রতারণামুলক সখ্যতা তৈরী করে।এরপর ছাত্রী হলে সিট পাইয়ে দেয়ারকথা বলে বড় ভাইকে দিয়ে সুপারিশআনতে হবে কিংবা তাকে দিয়ে স্যারকেবলাতে হবে। এহেন অজুহাতে কথিত বড়ভাই যুবলীগ নেতা সাদেকের সাথেপরিচিতি থেকে ভন্ড প্রেমের সুত্রপাততৈরী করে ঔ ইভটেজার চক্র। এ ব্যাপারেভুক্তভুগীসূত্র, নিমরা (ছদ্ম নাম) বলেন, আমি ২০১৬ সালে বিএম কলেজে ভর্তিহই। এরপর বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী হলেসিট নেয়ার জন্য দৌড় ঝাপ করে ব্যর্থহলে সুরুজ আমাকে ঔ ভাইর সাথে কথাবলিয়ে দেয়। একপর্যায়ে উপকারেরসুযোগটি নিয়ে কৌশলে আমার সাথেসম্পর্ক তৈরী করে নকল বিয়ে করে।নকল কাগজ তৈরী করে আমার বিশ্বস্ততাঅর্জন করে একাধিকবার সংসর্গ করে।এঘটনার ২/৩মাস পর আমাকে বলে সেবিদেশে যাবে তাই তার ফোন বন্ধ থাকবেএবং কুটকৌশলে সে বন্ধ করে দিয়ে নতুনসংযোগ ব্যবহার করে। আর দেখা করতেচাইলে সাদেকের চ্যালা-চামুন্ডারাআমাকে হল থেকে নামিয়ে দেবে এমনকিকলেজেও আসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিদেয়। এতেও আমি কর্ণপাত না করলেআমাকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দেয়াহতো পথে ঘাটে। শুধু তাই নয় আমাদেরআপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়েদেয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে বলে এনিয়েযেন আমি কোন প্রকার থানা পুলিশ নাকরি। বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে নারীদেরশ্বাসরুদ্ধকর এ চালচিত্রের এখানেই শেষনয় যুবলীগ নেতা সাদেকের নারী খেকোকর্মকান্ড বরং ওপেন সিক্রেট। কিন্তুভুক্তভুগীরা কেন পুলিশের দারস্থহচ্ছেনা? এ বিষয়ে ভুক্তভুগীসূত্র আরোজানায়, সাদেকের অস্ত্রবাজি রয়েছেনগরীতে এবং ক্ষমতাও রয়েছে পুলিশেরকাছে অভিযোগ করতে গেলে কালক্ষেপনকরা হয় এবং এ তথ্য চলে যায় সাদেকেরকাছে। এতে প্রতি মুহুর্তে ঝুকিপুর্ণ জীবনযাপন করতে হয়। শুধু তাই নয় শুনেছিসে দেশের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তির আত্মীয়।যে কারণে প্রশাসন তার ব্যপারেঅভিযোগ নিতে হিমশিমে পরে যায়।সুত্রে আরো জানা গেছে, নগর যুবলীগেরবেপরোয়া নেতা সাদেক কুয়াকাটায়একটি আবাসিক হোটেলে তার দলীয়এবং নিজস্ব অনুসারী তার কথা নাশোনার কারণে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়এবং এ ঘটনার কোন মামলা দায়েরহয়নি। বরং ভুক্তভুগীকে শাসিয়ে দেয়াহয়েছে এ বিষয়ে মুখ না খোলার জন্য।ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়া নিয়েনগরজীবনে এ দস্যুতার কবল থেকেমুক্তির ব্যাপারে বরিশাল মেট্টোপলিটনপুলিশের পুলিশ কমিশনার এস এমরুহুল আমিন বলেন, সুনির্দিষ্টঅভিযোগকারী পেলে ব্যবস্থা নেযা হবে।এদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসনেরঅতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আবুল কালাম তালুকদার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই শংকামুক্ত করতেহবে। অপরদিকে নগর যুবলীগ নেতাসাদেকের এহেন কর্মকান্ডের ব্যাপারেমহানগর আলীগের সভাপতি গোলামআব্বাস দুলাল বলেন, এধরণেরঅভিযোগ খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলেব্যবস্থা নেয়া হবে।