• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সরকার রাজস্ব হাড়ালেও পোয়াবারো টিআই শাহআলম ও দুলাল গংরা

admin
প্রকাশিত মে ১৩, ২০১৮, ১৮:৪৯ অপরাহ্ণ
সরকার রাজস্ব হাড়ালেও পোয়াবারো টিআই শাহআলম ও দুলাল গংরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকার রাজস্ব হাড়ালেও পোয়াবারো কতিপয় সার্জেন্ট, টিআই আলম ও দুলাল গং রা। মাহেন্দ্র ও গ্যাসের অটো গাড়িসহ পিকআপ (হাঁসের ছাও) গাড়িগুলো থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের চাঁদা হাতিয়ে নেয় এ গংরা। অথচ অবৈধ এ গাড়িগুলো থেকে নিবন্ধন ফি বাবদ সরকারি রাজস্ব আদায় হতো বেশ মোটা অংকের। ভুক্তভুগী সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল মেট্টো এলাকায় প্রায় এক হাজার পিকআপ গাড়ি চলাচল করে। প্রতি চালককে মাসে তিনশ টাকা দিতে হয় সার্জেন্টকে তবেই নির্বিঘেœ পিকআপ চালিয়ে রুটি-রুজির ব্যবস্থা করতে পারে এ চালককরা। অন্যথায় কাগজ পত্রাদি থাকা সত্বেও বিভিন্ন খোড়া অজুহাতে মামলা ঠুকে দিয়ে হয়রানি করা হয়। গাড়ির ট্রিপ আসুক বা না আসুক মাসোয়ারা দিয়েই তবে সড়কে চলাচল করতে হয় এমনটিই জানা গেছে একাধিক চালকসুত্রে। আর এ মাসোয়ারা ঠিকঠাক মতো হাতানোর জন্য সার্জেন্ট নোটবুকে গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার অনুযায়ী লিখে রেখে চালকদের থেকে চাঁদা নিশ্চিত করে। অথচ এ ব্যাপারে উক্ত সার্জেন্ট বলেন, এধরণের অভিযোগ মিথ্যা এবং আপনারা মালিক সমিতির সাথে আলাপ করে যাচাই করতে পারেন। এদিকে বিআরটিএ দপ্তরসূত্রে, নগরীতে চলাচলকারী মাহেন্দ্র (অটোরিক্সা) ও গ্যাস চালিত অটো টেম্পু রয়েছে ১২শ’ ৭৫টি। কিন্তু সরেজমিনে নগরীতে দাবড়িয়ে বেড়ায় প্রায় ২ সহ¯্রাধিক এ গাড়ি। গাড়িগুলো প্রতিদিন লঞ্চঘাট, রুপাতলী, কালিজিরা, গড়িয়ারপার, নথুল্লাবাদ, সায়েস্তাবাদ, দপদপিয়া খেয়াঘাটসহ বিভিন্ন স্পট গুলোতে যাত্রী পরিবহন করে কাক ডাকা ভোর থেকে রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত। নিবন্ধিত মাহেন্দ্র ও গ্যাস চালিত গাড়ির প্রায় দ্বিগুন গাড়ি চলাচল করে নগরীতে। আর প্রক্রিয়ায় রয়েছে মাসোয়ারা। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শেরে বাংলা সড়কস্থ বাসিন্দা দুলাল গাড়ি প্রতি মাসে তিনশ টাকা মাসোয়ারা তুলে টিআই আলমের কাছে জমা দেয়। আর এ কারনেই শহরে নির্বিঘেœ চালকরা এ গাড়িগুলো চালাতে সমর্থ হয়। তবে এহেন কর্মকান্ডে উভয়েরই মাসতুতো ভাই সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে দুলাল বলেন, আমি জানিনা। আবার টিআই ওয়ান শামসুল আলম বলেন, নগরীতে অনিবন্ধিত এ ধরণের গাড়ি আগেই বধ করা হয়েছে, এখন আছে বলে মনে হয়না। আর গাড়ি প্রতি যে মাসোয়ারা বিষয়টিতে আমি তো জড়িত নই-ই বরং কে বা কারা ট্রাফিকের ছত্রছায়া প্রকাশ করে টাকা উঠাচ্ছে তাও খতিয়ে দেখা হবে। অপরদিকে নগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার মো: ফাইজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, কোন প্রকার অনিয়ম সহ্য করা হবেনা, এটা কমিশনার স্যারের নির্দেশ। এ সময় তিনি আরো বলেন, নগরীতে যদি টাউন সার্ভিস চালু থাকে তাহলে এ ধরনের গাড়ির সংখ্যা এতো হতোনা এবং নগরময় ট্রাফিক শৃঙ্খলাও আরো ত্বরান্বিত হতো।