• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশাল নগর পুলিশের লাগামহীন অপরাধ থামাবে কে?

admin
প্রকাশিত মে ১১, ২০১৮, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ
বরিশাল নগর পুলিশের লাগামহীন অপরাধ থামাবে কে?

এস এন পলাশ ॥ বরিশালে বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে সত্য উৎঘাটনের পরেও রহস্যজনক কারনে চিরজীবনের জন্য সেগুলো ফাইল বন্ধি হয়ে থাকে। পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে সমাজে অপরাধ প্রবনতা ক্রমেই বেড়েই চলছে। তারই পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে খোদ পুলিশ সদস্যরাই। যে কারনে অপরাধি পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায় আসলেও ক’দিন পরেই আবার সাবেক হুকুম বহাল অথবা ভাল কোন স্থানে বদলী হয়ে যায়। এমন নজির বরিশাল মেট্টোপলিটনের সকল থানায় প্রমানিত। পুলিশের অপরাধের মাত্রা, মাদক বিক্রি, অসৎ আচরন, চোরা চালানরে সাথে সম্পৃক্ততা, ঘুষ বাণজ্যি, সিনিয়র অফিসারদরে সাথে অসৌজন্যমূলক আচারন সহ ফৌজদারী মামলায় র্পযন্ত জড়িয়ে পড়ছে পুলিশ সদস্যরা। সুশীল সমাজ বলছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার কারনে ওই সব অনাকাংখিত ঘটনার সৃষ্টি। যার প্রধান কারন রাজনতৈকি ক্ষমতা। যাতে করে নীজ বাহিনীর নিয়ম ও সুনাম ভেঙে নিজেদের মতো করে চলছে তারা। মাদক, নারী নির্যাতন, হোটেলে অপকর্ম, ট্রাফিক বিভাগের চাঁদাবাজিসহ সকল অপরাধের সাথেই সরাসরি জড়িত মেট্টোপুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য। পুলিশের বড় বাবুরা সরাসরি মদত না দিলেও তাদের ওপেন সিক্রেটে মদত থাকে। যে কারনে একই ব্যক্তিরা বড় বড় অপরাধ করেও স্ব স্ব স্স্থানে বহাল রয়েছে। পুলিশ অফিস সুত্র ও তথ্য মতে, চলতি বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে ছিলো ডিবির (বরখাস্ত) এসআই আবুল বাশারের সাথে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান নির্যাতনের ঘটনা। যে ঘটনায় ৬ জনকেই বর্তমান পর্যন্ত বরখাস্ত হয়ে থাকতে হচ্ছে। কারন তুচ্ছ ঘটনায় ক্যামেরাম্যান সুমনকে ডিবি অফিসে নিয়ে ৬ জনে মিলে মারধর করেছিল্ যাতে তাকে মেডিকেলে ভর্তি হতে হয়েছিলো। গত বছরের বরিশাল মেট্টোপলিনের আলোচিত বিষয় ছিলো সাবেক বিমানবন্দর থানার এসআই বর্তমানে কোতয়ালী থানায় কর্মরত মাইনুলের নারী সংঘটিত ঘটনা। রাতের আঁধারে এক নারীকে নিয়ে বসবাস করায় ওই নারীর সাবেক স্বামী হাতেনাতে আটকের পরে এয়ারপোর্ট থানায় সংবাদ দেয়। পরে ওই থানার এসি ফরহাদ গিয়ে এসআই মাইনুল কে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ হতে হয়েছিলো। এমনকি নিজ স্ত্রীকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন, পুলিশ কমিশনারের নিকট স্বারক লিপিও দিয়েছিলো ওই নারীর সাবেক স্বামী। যদিও পরবর্তিতে এসআই মাইনুল প্রমান করে যে, যেই নারীর সাথে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছিলো তার সাথে আগেই নাকি মাইনুলের বিয়ে হয়। আর আগের স্বামীকে তালাক দেয়। বিষয়টি নাকি গোপন রেখে ছিলো। যদিও মাইনুলও বিবাহিত তারও সন্তান রয়েছে। ফলে পুলিশ রিপোর্ট না চাইতেই নিজ পক্ষে চলে যায়। এরপরেই কপাল খুলে যায় মাইনুলের। সব অপরাধ মাফ আর বদলী হয় এয়ারপোর্ট থানা থেকে কোতয়ালী মডেল থানায়। এমনি বহু অভিযোগ বরিশাল মে্েটাপলিটন পুলিশের ঝুড়িতে রয়েছে। ট্রাফিক বিভাগে বর্তমানে কর্মরত টিএসআই নাঈম দায়িত্ব পালন করতে ছিলো আমতলার মোড়ে। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে মটর সাইকেল চালিয়ে যেতে ছিলো সাবেক এক এসপি’র ছেলে। ওই ছেলের মটরসাইকেল থামিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলার অপরাধে ও গাড়ির কিছু ত্রুটির কারনে মামলা দিতে চাইলে টিএসআই নাঈমকে সরাসরি ফোন করে পুলিশের ওই সাবেক কর্মকর্তা মামলাটি না দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু নাঈম তার সম্মান না রেখেই ছেলেকে মামলার একটি কাগজ হাতে ধরিয়ে দেয়। আইনের প্রতি সম্মান রেখে মামলাটি ভাঙ্গাতে গেলে ট্রাফিক বিভাগের বকশি স্বপন ওই ছেলের সাথে ভালো আচারন না করায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই ঢাকায় অভিযোগ দেয় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে টিএসআই নাঈম ও কনেষ্টেবল স্বপন কে আদালতের দুয়ারে দীর্ঘ দিন ঘুরতে হয়। অপরাধ ছিলো সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের অসম্মান করা। তাছাড়া বর্তমানে ট্রাফিক বিভাগের সব চেয়ে বড় দূর্ণীতীতে মেতে আছে সার্জেন্ট কামরুল ও সার্জেন্ট মাহাবুব। যারা প্রতিটি ট্রাক থেকে মাসোয়ারা নেন। মাসে মে্েট্টাতে যে ট্রাক এক দিনের জন্যও ঢুকবে তাকেও মাসিক বিট এর আওতায় আসতে হয়। এতে কিছু কিছু টিআইও জড়িত রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম টিআই শাহ আলম। তাদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বরিশাল মেট্রোতে কোন ট্রাক কিংবা মালের পিকআপ ভ্যান ঢুকতে পারেনা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে প্রতিটি ট্রাক চেক করলেই প্রমান পাওয়া যাবে। তারা ওই বড় স্যারদের স্বাক্ষর করা একটি টোকেন বের করে দিবে। বরিশাল-মাওয়া রুটে ফিটনেসবিহীন সকল গাড়ী ট্রাফিক বিভাগকে মাসিক টাকা দিয়ে রাস্তায় চলে। দক্ষিনাঞ্চালের যতো অবৈধ ত্র্যাম্বুলেন্স রয়েছে সেগুলো হাতে গোনা কয়েকজন সার্জেন্ট বাদে সবার সাথেই মাসিক বিট করা। এ ছাড়াও যেসব মাহিন্দ্র পুলিশের রিকজিশনের আওতায় আসবেনা তাদের মাসিক বিট হিসেবে এক হাজার করে টাকা ট্রাফিক বিভাগ দিতে হয়। যদিও ট্রাফিক বিভাগ নিজেদের সুফি দাবি করে, তাই টাকা সরাসরি হাত দিয়ে ধরেনা। শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে খামে করে নেয়। আর অফিসে গাড়ি আটকের মামলা নিয়ে বানিজ্যে মেতে থাকে বকশি স্বপন ও এটিএসআই মোস্তাফিজ। রাজকীয়ভাবে অফিসে বসে গ্রাহক সেবার নামে দুর্ব্যবহার করাই তাদের নিত্য দিনের রুটিনে পরিনত হয়েছে। খোঁজ করলে জানা যায়, এটিএসআই মোস্তাফিজের বিলাসি জীবনের নেপথ্যের কাহিনী। দুনিয়ার সকল আইন যেন এদের কাছে। সর্বশেষ নগরীর বৈদ্যপাড়ার একজন মহিলার সাথে তার প্রবাসী স্বামীর দ্বন্দ্ব বাঁধে। ওই মহিলা আইনী সহায়তা পাওয়ার জন্য কোতযালী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করলেও কোন প্রতিকার পায়নি। যে কারনে ওই স্বামী সুযোগটি গ্রহন করে। পরবর্তিতে স্ত্রীকে মারধর করলে স্ত্রীকে বরিশাল শেরইবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে সকল কাগজপত্র নিয়ে থানায মামলা করতে গেলে শুরু হয় আলোচিত ওসি আওলাদ ও এসআই মশিউরের ক্যালমা। মামলা এখন হবেনা, আগে ঘটনার তদন্ত হবে তার পরে আসবেন। কারন বিভিন্ন স্তরে ঘটনা চলাকালিন সময়ে প্রবাসী ওই স্বামী মাওঃ মোস্তাফিজের নিকট থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই পুলিশ বাবুরা। যার প্রমান মিলেছে ডিসি অফিসে এক জন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের ডেকে জেরাকালে। ওই ঘটনার সাথে এসআই নজরুলও জড়িত ছিলো। প্রথমে পুলিশের ৩ কর্মকর্তার জন্যই নির্য়াতনের বিচার পায়নি নির্যাতিত ওই নারী মোর্শেদা। শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। অর্থের কাছে বরিশাল পুলিশ যে জিম্মি তার বড় প্রমান মিলেছে, ২০১৭ সালের ২৪ আগষ্ট দৈনিক শাহনামা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার মাধ্যমে সদর উপজেলার একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা একাধীক সংসার ভাঙা নারীর অন্যায়ের সুবিচার পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। ঘটনাটি সুবিচারের জন্য ডিবির সাবেক ডিসি উত্তম কুমার তদন্তের দায়িত্বে দেন ডিবির ইন্সেপেক্টর মাহবুব আলমকে। তিনি তার মেধা খাটিয়ে ঘটনাটির তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে ২৬ অক্টোবর রিপোর্ট পেশ করেন। কিন্তু সেই ঘটনার এখন পর্যন্ত কোন সুবিচার পায়নী ওই শিক্ষার্থীরা ও ভূক্তভোগী পরিবার। যার স্বারক নম্বর ছিলো (বিএমপি অপরাধ/ ২৬৩। ২৪.৮.২০১৭ ইং)। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যা অভিযোগ পর্যন্তই থাকে। বিবাদীর নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে ওই ফাইল আর আলোর মুখ দেখেনা। বিগত বছরের কিছু অপরাধী পুলিশ অপরাধ করে সাজা পাওয়ার পরেও একই অপরাধ অব্যাহত রেখেছে। যার মধ্যে অনেকে শাস্তির আওতায় আসছে। এসব কারনে সিনিয়র পুলশি র্কতারা ওই সব অপরাধীদের ও আইনের আওতায় আনছে। বিভাগীয় মামলাসহ পুিলশ অধ্যাদেশেরে বিভিন্নি আইনে কিছু সংখ্যক পুিলশ শাস্তির আওতায় আসলেও প্রকৃত অপরাধীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। ইউনিট প্রধান এর সততা আর নিষ্ঠার কারনে বরিশাল মেট্টোপলিটিন পুলিশের সুনাম বাড়ানোর সময় চিহ্নিত অপরাধী পুলশি অফিসারগন তাদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। এরা যেকোন অফিসারের আমলেই বীরের সাথে রাম রাজত্ব করে যাচ্ছে। আর এ ঘটনাগুলো যতদুর জানা যায় ঠিক তারই শাস্তির ব্যবস্থা, বাকিগুলো খতিয়ে দেখা না হওয়ার জন্য পুনরায় সেই অপরাধের সাথে জড়িয়ে মাত্রা আরো বাড়িয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে র্অথাৎ ২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে অক্টোবর র্পযন্ত বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ অপরাধে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে ৬ জন। এছাড়াও ছোট ছোট অপরাধে ক্লোজ, শাস্তিমূলক বদলীসহ তিরস্কার করা হচ্ছে। তথ্য মতে, গত ২ বছরে এর সংখ্যা কয়েক ডজনে পরিনত হয়েছে। তথ্য মতে, কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এসআই আঃ মান্নান হোটলেরে র্বোডারদের জিম্মি করে অর্থ বানজ্যিসহ মারামাররি একটি মামলায় আসামী ধরে এনে পরবিাররে কাছে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করায় আসামীর পরবিাররে অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা পাওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো। নগদ টাকাসহ এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করে সাথে থাকা ইয়াবা ও ফেন্সিডিল গায়েব করে ফেলার অপরাধ দৈনিক দেশ জনপদ পত্রিকায় প্রকাশের পর সত্যতা পাওয়ায় ডিবির এএসআই আঃ সালাম ও কনস্টেবল সালামকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো। এভাবইে অপরাধের কারনে মৃত্যুর আগ র্পযন্ত বরখাস্ত ছিলো সাবেক ডিবির সদস্য আল আবিদ। বরিশাল আদালতে কর্মরত থাকা অবস্থায় টিএসআই হারুন অসৎ আচরনসহ নানান অপরাধে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো। বরিশালে যোগদানের পরই ছোট ছোট অপরাধের নায়ক এসআই রেহান কোতয়ালী থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সরকারী পুলিশের মটর সাইকলে র্দীঘ ৬ মাস যাবত এক লোহা ব্যবসায়ীকে চালাতে দেয়ার অপরাধে এয়ারর্পোট থানায় শাস্তি মূলক বদলী করা হয়েছিলো। সেখানে বসে মাদকসহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কারনে বন্দর থানায় বদলী করাসহ সাময়কি বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও ক্লোজ করার মত ঘটনা রয়েছে বহু। হোটেলের বোর্ডারদের জিম্মি করে অবধৈভাবে র্অথ হাতিয়ে নেয়ার অপরাধে সাবেক সিটিএসবি সদস্য সুমন চন্দ্রকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ওই বরখাস্তের আদেশ তুলে নেয়ার পর তাকে ডিবিতে বদলী করা হয়েছিল। ডিবিতে থাকা অবস্থায় হোটেলে উঠে নারী নিয়ে ফুর্তি ও ইয়াবা সেবনকালে এসআই দেলোয়ার তাকে আটক করে। তখন তিনি দেলোয়ারের উপর চড়াও হলে সিনিয়ির জুনিয়র মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বর্তমান পর্যন্ত সুমন বরখাস্ত রয়েছে। ২৫ মে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলে আদালতে মিথ্যা অভিযোগে চার্জসিট দেয়ার বহুল বিতর্কিত মাদক বিক্রেতা এসআই চিন্ময়কে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরবর্তিতে একটি পরিবারকে দিয়ে মাদক বিক্রি করানোর অপরাধে এসআই চিন্ময় কে জেল খাটতে হয়েছিলো। যে মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান। এছাড়াও মেট্রোর ইতহিাসে সবচেেয় বড় যে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে তা হলো ৭৭ লাখ টাকা ঘুষ কেলেংকারীর ঘটনায় তৎকালীন ডিসি (উত্তর) মোঃ জিল্লুর রহমানসহ ১০ জন বরখাস্ত হয়েছিলো। ওই ঘটনা শুধু বরিশালেই নয় সারা বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। কারন ঘুষ কেলেংকারীর ঘটনায় বরিশালে প্রথম কোন এসপিকে বরখাস্ত হতে হয়েছিল। তাছাড়া ডিআইজি সামসুউদ্দিন পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন বরিশালে ছিলো অপরাধের রাজঘর। এমন কোন অসাধু পুলিশ ছিলোনা যারা অপরাধ না করে মোটা অংকের টাকা কামায়নী।