• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বরিশালে রয়েল সিটি হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

admin
প্রকাশিত জুন ২৬, ২০১৮, ১৪:৩০ অপরাহ্ণ
বরিশালে রয়েল সিটি হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু

dav

এস এন পলাশ।।
বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শেখ কবির উদ্দিন (৭০) নামে এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ওই অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে ওই রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় ৩০হাজার টাকা নেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ডস্থ রয়েল সিটি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক রফিকুল বারী অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে রেখেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। মৃত শেখ কবির উদ্দিন নগরীর সিএন্ডবি রোড সংলগ্ন কাজী পাড়া এলাকার বাসিন্দা। কবির উদ্দিনের মেয়ে মুন্নী আক্তার, হীরা আক্তার ও ছেলে শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘প্রসাবের স্থানে সমস্যা ছিল আমার বাবার। ডাক্তারী ভাষায় এই সমস্যাকে প্রসপেক্ট গ্লান বলে। সেই অনুযায়ী তাকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক রফিকুল বারী দুপুরে দেড়টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। হঠাৎ করে ডা: রফিকুল বারী অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে আমাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। এরপর থেকেই রফিকুল বারীকে আর হাসপাতালে দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পর হাসাপাতালের ডিউটি চিকিৎসক তামিম আমাদের কাছে এসে বাবার মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। ভুল চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলতে গেলে আমাদের উপর চরাও হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রয়েল সিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম রফিকুল বারী জানান, ওই রোগীর হার্টে সমস্যা ছিল। যে বিষয়টা আমাদের জানানো হয়নি। তবে রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন তাদের রোগীর হার্টে কোনো সমস্যা ছিল না। রয়েল সিটি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: শামীম জানান, এটা একটা দুর্ঘটনা মাত্র। কেউ কাউকে ইচ্ছা করে মৃত্যুর মুখে নেয় না। এদিকে ঘটনাস্থলে পাওয়া হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সাথে এই হাসপাতাল তৈরীর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেখতে চাওয়া হলে তারা তা দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের একাংশ আইনি ভাবে বিচার চায়। তবে ক্ষতিপূরণ দিয়ে মিমাংশার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে অপর একটি মহল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।