এস এন পলাশ॥ সরকারী খাল দখল করে দোকান নির্মানের মহাউৎসব চলছে নগরীর চৌমাথায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এখাল দখল মুক্ত করলেও অদৃশ্য ক্ষমতা বলে গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫/৭টি ষ্টল নির্মান করা হয়েছে। প্রকাশ্যে এসব দখলদরীদের দখল চললেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিচ্ছেনা কোন ব্যবস্থা। সূত্রমতে, গত ২০১৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক গাজি সাহিফুজ্জামান জেলা প্রশাসক থাকাকালীন সময় বরিশালের ২২টি খালের অবৈধ দখলদারীদের কাছ থেকে দখল মুক্ত করেছিলেন। সেই দখল মুক্ত চৌমাথার খালটি আবারো দখলদারীর ষ্টল নির্মান করে দখলে নিয়েছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, চৌমাথা কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন পশ্চিম পাশের খাল দখল করে ৮ জন ব্যবসায়ী একত্রে মিলে কাঠের ষ্টল নির্মান করে ঔষধ ও ফল ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের অগ্রীম নিয়ে ভাড়া দিয়েছে। জেলা পরিষদের এ জমি হলেও অদৃশ্য কারনে নিরব রয়েছে তারা। জেলা পরিষদ দপ্তরে খোজ নিয়ে জানাগেছে, গত পনেরো বছর আগে নগরীর চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা আউয়াল, সত্তার চৌধুরী, আলাউদ্দিন, নাসির উদ্দিন শাহিন, সাত্তার সরদার, মুনসুর সরদার, মোতালেব হাওলাদার, শাহাবুদ্দিন সিকদার এরা মিলে ১ বছর ওয়ারী জেলা পরিষদ থেকে এখালের জমি লিজ নিয়ে ছিলেন। এ অবস্থায় সাবেক জেলা প্রশাসক গাজী সাইফুজ্জামান খাল উদ্ধার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে খাল দখলমুক্ত করেন। এসময় চৌমাথার এ খাল দখলকারীদের নির্মিত দোকান ঘর ভেঙ্গে চুরে দখল মুক্ত করে। এক বছর যেতে না যেতেই আবারো খালটি দখল করে দোকান নির্মান করে দেধারছে ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, গত জুন-জুলাই অর্থ বছরে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার বহু অপকর্মের হোতা আলামিন স্থানীয় কতিপয় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজস করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে আউয়াল, সত্তার চৌধুরী, আলাউদ্দিন এ তিনজনকে ১৫ ফিটের ১ বছরের লিজ বৈধ করে দেয়। একই ভাবে নাসির উদ্দিন শাহীন, সত্তার সরদার এই দুইজনকে ৫/১৫ ফুট ১ বছরের লিজ বৈধ করে দেয়। মুনসুর সরদার, মোতালেব হাওলাদারকে ৬/১২ ফুট লিজ বৈধ করে দেয়। শাহাবুদ্দিন সিকদারকে ১২/১২ ফুট বৈধ লিজ নিয়ে দেয়। অথচো বর্তমান জেলা প্রশাসক ও সাবেক জেলা প্রশাসকের মহতী উদ্যোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সার্ভেয়ার আলামিন সহ কতিপয় ব্যক্তি মিলে খালের জমি লিজ নিয়ে আবারো পুরোপুরি দখল নিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী দেশ জনপদকে বলে ১৫ বছর ধরে এ জমি ব্যবসায়ীর লিজ নিয়ে ব্যবসা করে আসছে। তাই এ বছরও এ জমি লিজ দেয়া হয়েছে। তাহলে সাবেক জেলা প্রশাসক খালের জমি দখল মুক্ত করেছেন কেন? এ বিষয় উচ্চমান সহকারী মোজাহিদ কোন সদুত্তোর দিতে পারে নি। চৌমাথা এলাকার সচেতন মহল খাল দখল মুক্ত করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।