কামরুন নাহার সালমা ॥ ২০/২৫ জনমাদক সম্রাট প্রশাসনের কঠোরতাউপেক্ষা করে নগরীতে অক্টোপাসের মতোছড়িয়ে দিচ্ছে ইয়াবা ও ফেন্সিড্রল।মাদক বিক্রির চিহ্নিত এ হর্তারাক্ষমতাসীন দলীয় ছত্রছায়া প্রচারনিজেদেরকে নিরাপদ করার হেন চেষ্টায়ওপিছিয়ে নেই। আর নজড় এড়াতে মাদকসরবরাহে ব্যাবহার করছে শিশু ও নারী।প্রায় পাচ শতাধিক মাদক বিক্রেতাসরাসরি চালান সংগ্রহ করে তা ছড়িয়েদিচ্ছে নগরী ও বাইরের এলাকাগুলোতে।অনুসন্ধানসুত্রে আরো জানা গেছে, তিনমাস পূর্বে ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায়লিজা নামের এক নারীকে তালুকদারম্যানসন থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে, সেন্টু নামের এক যুবক প্রকাশ্যে মাদকবেচাকেনা করে, ধাঁন গবেষনা এলাকায়বাপ্পি, আরিফ ও চাঁন বালুখোলাএলাকা, এছাড়া তরকারী আল আমিন।ব্যাপিস্ট মিশন সড়কে রাব্বি, রেজভিসরদার, মিলন নামের তিনজন। নগরীরপ্রায় ২৬ টি ওয়ার্ডে এভাবে কয়েক”শমাদক ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে এবং গোপনেবিক্রি করছে মাদক। আর প্রতিদিনলেনদেন হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। নগরীরবিশেষ কয়েকটি স্পট যেমন ব্রাউনকম্পাউন্ড, গোড়াচাঁদ দাস রোড, চৌমাথা, কাউনিয়া, বাজার রোড, পোর্টরোড, সাগরদী, রুপাতলী, ল’কলেজ, জেলা দায়রা জজ আদালতএবং নানীবুড়ি মাজার এলাকায় দিনেঅপ্রকাশ্যে এবং রাতে প্রকাশ্যে চলেমাদক ব্যবসা। ইতোপুর্বে বেশ কয়েকটিবস্তিতে এ ধরনের কর্মকান্ড চলেআসলেও এখন তা ছড়িয়ে পরেছেআধুনিক বাসা বাড়িতে। কিছু অসাধুপ্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরাওপরোক্ষভাবে এইসব ব্যবসায়ীদেরসহায়তা করে বলে জানা গেছে, বিনিময়েতাদের নিকটে মাস শেষে চলে আসেনির্ধারিত হারে মাসোয়ারা। মাদকের নীলথাবায় নগরীর উঠতি বয়সি যুবকরাধংস হচ্ছে। অন্যদিকে মাদকমুক্ত সমাজগড়ার প্রত্যয়ে বিভিন্ন সংগঠনপ্রতিনিয়তমানব বন্ধন, সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালনকরছে তবুও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।মাদকসেবী এবং ব্যবসায়ীদেরঅধিকাংশই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানবলেও সুত্র নিশ্চিত করেছে। তিন ধাপেরএই ব্যবসার প্রথম ধাপে যারা রয়েছেতারা উচ্চবিত্ত প্রভাবশালী এদেরকেচেনার তাই উপায় থাকেনা। সরাসরিবেচা কেনার সাথে এদের কোন সম্পর্কথাকেনা তারা অর্থ দিয়ে ইয়াবাফেনসিড্রিল কেবল আমদানী করে।এরাসবাই কোটিপতি এবং ধরাছোয়ার বাইরেথাকে। পরের স্তরটি মাদক ব্যবসার মূলদ্বায়িত্ব পালন করে থাকে । নগরীরবিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ীতৈরী করে তাদের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায়ছড়িয়ে দেয়।সবশেষ স্তরটিতে যারা থাকেতার সরাসরি মাদক বিক্রির সাথে জড়িতএরা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীও বটে। তবে, তারা জানেনা উপরে তাদের গড ফাদারকে। অনেক ক্ষেত্রে এদেরকে দৈনিকমজুরি১/২ হাজার টাকার ভিত্তিতে কাজেখাটানো হয়। মূলত সেল ফোনেরসহজলভ্যতা মাদক ব্যবসাকে সহজতরকরেছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদকএকস্থান থেকে অন্যস্থানে চালান হয়এবং দাম উঠানামা করে। একপরিসংখানে দেখা গেছে বরিশালে ইয়াবা, গাজা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। এদিকেমাদক বিরোধী অভিযানের ব্যাপার ডিবিপুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার মো: নাসির মল্লিক বলেন, নিয়মিত অভিযানেমাদকসহ ধরা হচ্ছে এবং আমরা আরোসর্তক দৃষ্টি বাড়াবো।
এদিকে মাদক ও পর্নগ্রাফী মামলায়নগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিকসম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা ওপুলিশ কনেষ্টেবল সাইফুল ইসলামসহ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটিচার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। গতকালবরিশালের সদর জিআরও শাখায় এচার্জশিট দুটি জমা দেন ওই মামলা দুটিরতদন্দকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দাপুলিশের পরিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন।উলে¬খ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর নগরীররূপাতলী এলাকার ওজোপাডিকোর রেস্টহাউজ সকাল ৮টায় অভিযান চালায়নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় রেস্টহাউজের নিচতলার একটি কক্ষ থেকেপুলিশ কনেষ্টেবল সাইফুল ইসলামসহতিনজনকে আটক করা হয়। এ সময়তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪৫২পিচ ইয়াবা ও তাদের ব্যাবহৃত কয়েটিমোবাইল ফোন এবং পর্নগ্রাফীর সিডি।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনাররুহুল আমিন এর মাদকের বিরুদ্ধেকঠোর অবস্থানের কারনেই ওই দিনরাতেই এদের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নগ্রাফীআইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেনগর গোয়েন্দা পুলিশের এস.আইদেলোয়ার হোসেন। তাদের গ্রেফতারেরপরপরই উঠে আসে ওই ঘটনার সাথেনগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিকসম্পাদক জাহিদুর রহমান মনিরমোল¬ার সম্পৃক্ততার কথা।ওদিকেনগরীর নতুন বাজারে ফেন্সিড্রিল ওইয়াবার হাট কায়েম করেছে মাদকপরিবার হারুন। গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছেনাপুলিশ ফাড়ির নাকের ডগায় এ হাট।কুখ্যাত হারুন ও তার স্ত্রী বেবি, পুত্রআকাশ এবং সরবরাহকারী মুকতালবছরের পর বছর বেশ খোলামেলাই ঐএলাকায় নিয়ন্ত্রণ করছে ফেন্সিড্রিল ওইয়াবার হাট। চিহ্নিত এ মাদক পরিবারেরদৌরাত্ম প্রকাশ করে স্থানীয় একাধিকসূত্রজানায়, নতুনবাজার এলাকার শিশুওজানে ঐ পরিবারটির কুকীর্তির বিষয়টিএবং অনেক পরিবার এলাকা ছেড়েঅন্যত্র ভাড়া থাকছেন কেউ আবারজায়গা বিক্রি করে দিচ্ছে।এক কথায়বসবাসের স্বাভাবিক পরিবেশ দুষিত করেবাসিন্দাদের জীবনে নাভিশ্বাস তৈরীকরেছে হারুন।কিন্তু পুলিশ, ডিবি,হারুনের বাসায় একাধিকবার তল্লাশিকরে আবার মাঝে মধ্যে ধরেও থাকে কিন্তুওর মাদক বিক্রি বন্ধ হচ্ছেনা। পুলিশেরনাকের ডগায় থেকে কিভাবে সে তার কর্মকান্ড চালাচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলেবরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনারমো: এসএম রুহুল আমিন বলেন, এধরণের সমাজদ্রোহীদের ব্যাপারেপুলিশের পক্ষ থেকে কঠোরতর ব্যবস্থাগৃহীত হবে।