• ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ২২:৫৩ অপরাহ্ণ

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ দক্ষিনাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীর গলাচিপায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তীবধ তাপদাহ চলছে। এই তাপপ্রবাহের ফলে জন জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। উপজেলায় বিগত দিনে তাপদাহের জন ̈ পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে চরম ক্ষতির মুখে রয়েছে শত শত চাষীরা। খাল নদী থেকে পুকুরে পানি দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলার গোলখালী ইউনিয় ে নর সুহুরী ১ম খন্ড এলাকার সুফিয়ান মৃধার ে ছ ে ল সাইফুল ইসলাম (৪০) জানান, ৬০ শতাংশ জমিতে পুকুর কেটে মাছ চাষ করেছি। পুকুরে রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, বড় চিংড়ি মাছ চাষ করে আসছি। কয়েক সপ্তাহে তীবধ তাপদাহে ও বৃষ্টির না হওয়ায় পুকুরের পানি কমে যাওয়ার গ ̈াসের সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে মাছ ̧লোর গায়ে পচন দেখা দিয়েছে। এতে মাছ মরে ভেসে উঠছে। আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই রকমের ঘটনা ঘটেছে চর সুহুরীর তালেব প ̈াদার সমিতি করা ৪টি পুকুরের মাছ। শনিবার সকাল থেকে মাছ ̧লো মরে ভেসে উঠা শুরু হয়েছে। গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের খবির মৃধা ও জাফর মৃধা জানান, গরমে পুকুরে মাছ চাষে সমস ̈া দেখা দিচ্ছে। পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় দূর থেকে মেশিনের সাহা ে য ̈ পানি আনা হ ে য় ে ছ। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় েগালখালী ইউনিয়নের সুহুরী ১ম খন্ড এলাকার মোঃ ছুরাত আলীর ছেলে জেলে জাকির হোসেন সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি মানুষের কাছ থেকে ৪ শতাংশ জমির একটি পুকুর লিজ নেই। পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতীর প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাছ চাষ করেছি। এর পিছনে খাবার দিতে আরো ৫০ হাজার খরচ হয়েছে। কিন্তু প্রচন্ড গরমের কারণে পানি গরম হয়ে উঠেছে।

আজ সকাল থেকেই মাছ ̧লো মরে ভেসে উঠেছে। এ বিষয়ে গলাচিপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দাস বাড়িতে কালিপদ দাসের ছেলে পরেশ দাস গং এর ৬ শতাংশের একটি পুকুর ও ১২ শতাংশ দৈর্ঘ ̈ একটি মাছের ঘের আছে। পরেশ দাস জানান, আমি এ বছর ৫ লাখ টাকার মাছ ছেড়েছি। কিন্তু ৫ শত টাকার মাছও পানিতে এখন নাই। সব মরে ভেসে উঠেছে। প্রতি বছর মাছ বিμি করে আমাদের ৫ ভাইয়ের যৌথ পরিবারের সংসার চলে। এখন আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেছি। সাহা বাড়ির নির্জন সাহা বলেন, ২টি পুকুরে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাছ ছেড়েছি। আজ দুপুর থেকে মাছ মরার হিরিক শুরু হয়েছে। কী যে করব ভেবেই পাচ্ছি না। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি বাড়ির মৃত. মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মো. আফজাল হোসাইন বলেন, আমার মামার ছোট একটা পুকুর আছে। শখের বসে সেখানে ৫০ হাজার টাকার মাছ ছেড়েছি। গরমে পুকুরের পানি কমে গিয়ে মাছ ̧লো মরে যায়।

ডাকুয়া ইউনিয়নের দিলীপ রঞ্জন গা১⁄২ুলীর ছেলে প১⁄৪জ গা১⁄২ুলী জানান, তার পুকুরে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মাছ ছিল। কিন্তু মাছ ̧ ে লা হঠাৎ ম ে র ে ভ ে স ও ে ঠ। রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে আমির হোসেনের পুকুরের প্রায় ৯০ হাজার টাকার মাছ মরে যায়। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে উপজেলার শত শত মাছচাষীরা উৎকন্ঠে রয়েছে বলে জানা গেছে। গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস ̈ কর্মকর্তা ে মা. জহিরুন্নবী ব ে লন, প্রচন্ড গর ে ম হিট এলার্ট জারি করা হ ে য় ছে। এতে পরি ে ব ে শর উপর বিরূপ প্রভাব প ে ড় ে ছ। মাছ মারা যাবার খবর ে কা ে না ক…ষক জানায়নি। তবে তীবধ তাপদাহে মাছ চাষীরা বিপাকে রয়েছে। দিনের বেলায় পুকুরে জাল টেনে তলদেশ থেকে গ ̈াস বের করা, চুন লবন প্রয়োগ করা, পানি সেচের ব ̈ব ̄’া করা সহ নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।