নিজস্ব প্রতিবেদক : কথায় আছে ‘অপরাধ যে করে আর যে সহে তব সমান অপরাধে অপরাধী’। এ রকমের ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল আঞ্চলিক শাখায়। একের পর এক চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে অপরাধীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২৯ মে এক হাজার টাকার নোটের এক লাখ টাকার একটি প্যাকেট (বান্ডিল) গণনা করে ক্যাশে রেখে দেন সিনিয়র ক্যাশ অফিসার গোলাম রাব্বি টিপু। পরে জুনিয়র ক্যাশ অফিসার মোঃ জাকির হোসেন ওই এক লাখ টাকার বান্ডিল থেকে ২টি এক হাজার টাকার নোট সরিয়ে ফেলে। পরের দিন (৩০ মে) সকালে মুদ্রা ও নোট পরীক্ষক শাকিল আহমেদ টাকার বান্ডিলটি গণনা করে দেখেন ২টি নোট কম আছে। এরপর জুনিয়র ক্যাশ অফিসার জাকির হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে সে সিনিয়র ক্যাশ অফিসার গোলাম রাব্বি টিপুকে দোষারোপ করেন। সিনিয়র ক্যাশ অফিসার টিপু নিজেকে নির্দোষ দাবী করে চ্যালেঞ্জ করেন। পরে ক্যাশ সেক্টরের কর্মকর্তারা সিসিটিভি পরীক্ষা করেন। সিসিটিভিতে দেখা যায় জুনিয়র ক্যাশ অফিসার মোঃ জাকির হোসেন বান্ডিল থেকে ২টি এক হাজার টাকার নোট সরিয়েছেন। এরপরে বিষয়টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মীমাংসা করেন।
এ ব্যাপারে মুদ্রা ও নোট পরীক্ষক শাকিল আহমেদ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার জানা মতে তিনি কোন নোট কম পাননি। তবে বিষয় সম্পর্কে সিনিয়র ক্যাশ অফিসার গোলাম রাব্বি টিপু এবং জুনিয়র ক্যাশ অফিসার মোঃ জাকির হোসেন কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। সিনিয়রদের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া প্রতিবেদককে দেখা করার জন্য অনুরোধ করেন। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষটি স্বীকার করেছেন। তবে তারা নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক।
এ ব্যাপারে ক্যাশ সেক্টরের প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এ রকমের ঘটনা ঘটে থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
একই কথা বললেন বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল আঞ্চলিক শাখার নির্বাহী পরিচালক মনোজ কান্তি বৈরাগি। এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এ ধরণের ঘটনাকে অন্তদ্বন্দ্ব বলেও আখ্যা দিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা। তবে এ ধরণের ঘটনা রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে আশা করেন না তারা।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল আঞ্চলিক শাখায় এ ধরণের ঘটনা ইতি পূর্বেও ঘটেছে।