• ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫১ জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়ায় মামলা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত আগস্ট ২০, ২০২৪, ১৮:৫০ অপরাহ্ণ
সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫১ জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়ায় মামলা

তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিএনপি অফিসে হামলা ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের মারধর, লুটপাটের অভিযোগে সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানসহ ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার রাতে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মহিববুর রহমান ছাড়াও মামলাটির উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার উদ্দিন আহমেদ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান, চকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ওরফে কেরামত হাওলাদার, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. তারেকুজ্জামান, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান, বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম হুমায়ুন কবীর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান অমি গাজী।

এ মামলায় ৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাত আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে ৩০ আগস্ট রাত আটটায় সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর হুকুমে আসামিরা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর ও অফিসের চেয়ার, টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। বিএনপি কার্যালয়ের টিভিসহ সকল সিলিং ফ্যান লুট করে নিয়ে যায়। এতে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার বাদি কলাপাড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই সময় ঘটনাস্থল ঘুরে চলে যায়, তখন কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি তারা।

কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহমেদ জানান, মামলার পরেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে।

গত ৫ আগস্টের পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।