নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাড়ৈয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মৃত জয়নালখার পুত্র মাসুম খা। দীর্ঘদিন সৌদিআরব
ছিলেন প্রবাসী। ঈদুল ফিতরের সময় বাড়িতে বেড়াতে এসে খান বাড়ি সংলগ্ন চায়ের দোকানে এসে দেখতে পায় এলাকার স্থানীয় যুবক এবং মধ্যবয়সীয় কিছু লোকজন মিলে মোবাইলে লুডু খেলছেন। অতঃপর তিনি মুঠো ফোনে তাদের ছবি ধারণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নিবির নেশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে
বাড়ৈয়ারা গ্রামের উঠতি বয়সী যুবক ছেলেরা।এবং স্ট্যাটাসে ব্যবহার করে এলাকার স্থানীয় মুরুব্বী এবং যুবকদের ছবি। এতে মান ক্ষুন্ন হয়ে এলাকার মুরুব্বীরা প্রতিবাদ জানালে মাসুম খা স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে ফেলে এবং তার বড় ভাইকে সাথে নিয়ে এলাকার মুরুব্বিদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে। বেশ কিছুদিন চলে যাওয়ার পরে সেই ছবিটি ব্যবহার করে এর স্থানীয় একটি পত্রিকাতে ছবি উল্লেখিত সকলকে মাদক সেবনকারী,জুয়ারু এবং মাদক ব্যবসায়ী বলে একটি প্রতিবেদন করেন।
এবং ওই চায়ের দোকানদারকে ডেকে এনে তোর থাপ্পর দেয় মাসুম খা।এবং নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। এবং তারপরে জেলা ডিবি পুলিশের দুই সদস্যকে সাথে নিয়ে এসে দোকানদার এবং দোকানে বসা এলাকার স্থানীয় মুরুব্বীদেরকে হুমকি দেয় চায়ের দোকানে কেউ আড্ডা দিতে পারবেনা। এখানে কেউ আড্ডা দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে। এই ঘটনাতে ক্ষুব্ধ হয় এলাকার স্থানীয় জনগণ এবং এলাকার মুক্তিযোদ্ধাগন।আজ বিকেল নাগাদ এলাকার ইউপি সদস্য, মুক্তিযোদ্ধাগণ, স্থানীয় বৃদ্ধ গন এবং স্থানীয় যুব সমাজ মিলে এই হয়রানির এবং এলাকার মান ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদ জানায়। এ সময় এই হয়রানির বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর প্রদান করেন এলাকার সাধারণ জনগণ।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাসেম আলী খান বলেন মাসুম খা এলাকার সন্তান হয়ে এলাকার সম্মান নষ্ট করছে এবং স্থানীয় মুরুব্বী ও যুব সমাজকে হয়রানি করছে। বারৈইয়ারা এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে এর নিন্দা জানাচ্ছি। এবং এর সঠিক বিচার প্রশাসনের কাছে কামনা করছি। এবং এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাইজুল ইসলাম বলেন মাসুম খা আমার এলাকার সাধারণ জনগণ ও বৃদ্ধ মানুষদের কে হয়রানি করছে। সাথে সাথে এলাকার শান্তি নষ্ট করছে। এবং আমাদের সুন্দর এই গ্রামটির সুনাম ক্ষুন্ন করছে।
এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার কামনা করছি।