বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি ।।
এক যুবককে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে সরসি ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি বাকেরগঞ্জ থানার দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের সিদ্দিক বাজারে।৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিনভর সরসি ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মো: আনোয়ার হোসেনের এই মোটা টাকার বানিজ্য বাংলা সিনেমাকেও হার মানার মতো। গত বুধবার রাতে বালিয়ার বাজারের ফিরোজ মোল্লা(২৮) নামের এক যুবক কে ইয়াবা সেবনকালে হাতেনাতে ধরে স্থানীয় জামাল পালোয়ান,জসিম,সুুমন খান,বজলু,বাপ্পি মুন্সি,আলম,সবুজ মোল্লা,বাবু আকন সহ ১০/১২জন।স্থানীয়রা সে সময় ফিরোজের কাছে ৪ পিস ইয়াবা পেয়ে সরসি ফাঁড়ির আনোয়ার হোসেন কে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ থাকায় ফিরোজ মোল্লা কে ঐ এলাকার হারুন চৌকিদারের জিন্মায় দেয় এলাকাবাসী। পরদিন সকালবেলা হারুন চৌকিদার ফিরোজ মোল্লা কে নিয়ে হাজির হন ফাঁড়িতে।এরপর কয়েকজন পুলিশ এসে বাজারে জানায় ফিরোজ কে যারা ধরেছিলো তাদের সবাইকে বড় বাবু যেতে বলেছেন।এদের সবাইকে ফাঁড়িতে নিয়ে যাবার পর শুর হয় মো: আনোয়ার হোসেনের বানিজ্য নাটক। কি ভাবে ধরলেন? কেন ধরলেন? নানান প্রশ্নের সর্বশেষ উত্তর ১৮,০০০ টাকা দিয়ে ফাঁড়ির আনোয়ারের হাত থেকে মুক্ত হন জামাল,আলম,সুমন,হাবিব,বাপ্পি। অপরদিকে সবুজ মোল্লাকে ঐ ইয়াবা মামালায় জরিয়ে দিয়ে হাতিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। কারন খুঁজতে গেলে বেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্য কর খবর। জানা যায় ঘোনাপারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে সদ্য সিলেক্ট হয়েছেন সবুজ মোল্লা। আর এ পদে আবেদন করেছিলো ঐ এলাকার মোশারেফ খানের ছেলে জহিরুল ও।কিন্তু চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভে ক্ষুদ্র মোশারেফ খান সরসি ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন কে মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন মাদক মামলায় জরিয়ে দিতে। যেনো সবুজ চাকরিতে যোগদান না করতে পারে। সবুজ কে কেনো ইয়াবা মামলায় দেওয়া হলো? এ প্রশ্নের কোনো সধ উত্তর দিতে পারেনি সরসি ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান বলেন আমাকে আনোয়ার বলেছে ৪ পিস ইয়াবা সহ ফিরোজ ও সবুজ নামে দুজন আটক করেছি। তবে এখন আমি বিষয়টি তদন্ত করবো। একজন আইন রক্ষক যদি হয় এমন তাহলে সমাজ কতটুক নিরাপদ এমন প্রশ্ন উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে?। পাঠক এ তো শুধু একজন সবুজের বেলায়। মো: আনোয়ার হোসেন আমলনামা নিয়ে লেখা দেখতে চোখ রাখুন।