• ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সমন্বিত উদ্যোগে দুর্যোগ প্রতিরোধ সম্ভব : ফারুক-ই-আজম

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১৬:২২ অপরাহ্ণ
সমন্বিত উদ্যোগে দুর্যোগ প্রতিরোধ সম্ভব : ফারুক-ই-আজম

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ দুর্যোগ কোনো একক প্রচেষ্টায় মোকাবিলা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ‘সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা, প্রস্তুতি ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই আমরা প্রকৃত দুর্যোগ প্রতিরোধে সফল হতে পারব।’

‘সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে বরিশালে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক-ই-আজম বলেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে।

তাদের সুরক্ষায় সরকার আশ্রয়কেন্দ্র, স্বেচ্ছাসেবক দল, অবকাঠামো উন্নয়ন ও আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বিভাগীয় প্রশাসন বরিশালের ব্যবস্থাপনায় সকাল ১০টায় সার্কিট হাউস চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেওয়ানুর রহমান, বরিশাল রেঞ্জের উপ–পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীন।

বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

তারা আরও বলেন, বরিশাল বিভাগের বেশির ভাগ জেলা উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এখানকার মানুষ প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়, সিডর, মোখা, সিত্রাং ও রেমালের মতো দুর্যোগে এ অঞ্চল বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে। দুর্যোগ–পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়ের জন্য সরকার একাধিক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। প্রতিটি উপজেলায় ব্রিজ, কালভার্ট ও হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি শুকনা খাবার, কম্বল, ঢেউটিনসহ ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের প্রক্রিয়া বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বক্তারা বলেন, সরকারের এসব উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ বরিশাল অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করেছে। পরে নগরীর বেলস পার্কে সিপিপির সদস্যরা দুর্যোগ মোকাবেলায় মাঠ মহড়া প্রদর্শন করেন।