এরই মধ্যে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন খুলনা টাইটানসের কেভন কুপার ও রংপুর রাইডার্সের আরাফাত সানি। তবে এই দুই জনের খেলতে কোনো বাধা নেই। বিপিএলে এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম এখনও নেই।
রাজশাহী কিংসের কাছে ৬ উইকেটে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তামিম সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানান।
“আমার মনে হচ্ছে, কিছু কিছু বোলার এমন (সন্দেহজনক বোলিং) অ্যাকশনে বল করছে, এভাবে করে আমাদের লিগে খেলা উচিত না। আম্পায়রা রিপোর্টও দিচ্ছে। বিসিবি কয়েকজনের বিরুদ্ধে অ্যাকশনও নিয়েছে।”
“আমি এটাই বলবো, কিছু বোলারের অ্যাকশন খেয়াল করা উচিত। আমার মনে হয়, এটা দেখা উচিত। বিশ্বের কোনো টুর্নামেন্টে কেউ পার পায় না। এখানে হয়তো পার পেয়ে যাচ্ছে। যদিও এবার বিসিবি শুরু থেকেই বেশ কয়েকজন বোলারের বিপক্ষে অ্যাকশন নিয়েছে। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়া উচিত।”
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সাধারণত কিছু বলেন না টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক। এবার স্পষ্ট করেই বললেন ঘরোয়া ক্রিকেটে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন চান না তিনি।
শনিবারের ম্যাচে চিটাগংয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়া আফিফ হাসানেরও বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অ্যাকশন সংশোধন করে কিছু দিন আগে বোলিংয়ের অনুমতি পেয়েছেন এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার।
গত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রসঙ্গ উদাহরণ হিসেবে আনলেন তামিম।
“শেষ প্রিমিয়ার লিগেও বেশ কয়েকজন রিপোর্টেড হয়েছে। এরপর পরীক্ষা দিয়ে অনেকে পাশও করেছে। এটা ভিন্ন ফরম্যাটের ক্রিকেটে। এটা পুরো বিশ্ব দেখে। এসেই জাস্ট বল করে চলে যাবে। এটা হতে পারে না। এটা আসলে টুর্নামেন্টের জন্য ভালো না।”
“একটা দল অতিরিক্ত একটা সুবিধা পেয়ে যায়। আমার মনে হয়, বিসিবি ভালো ভাবে দেখছে। তবে আমার মনে হয়, আরও একটু কঠোর হওয়া উচিত।”
বিপিএলে আম্পারদের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের একটি আসে জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আফিফের বলে ব্যাটের কানায় লাগার পরও এলবিডিব্লিউ হন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। এই প্রসঙ্গে একটু কৌশলী উত্তরই দিলেন অধিনায়ক।