নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গত ১লা মে রাত ৮টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাছের ট্রাক থামিয়ে খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মারপিট করিয়া দস্যৃতা করার অপরাধে বন্দরথানায় দায়ের হওয়া মামলার আসামী টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিযনের পতাং গ্রামের মৃত রাজ্জাক আকনের পুত্র রাসেল আকনকে গতকাল রাত ১২টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে বন্দরথানা পুলিশ। মামলার অপর দুই আসামী রুপাতলি এলাকার রথী ও আনোযারকে আটকের পর জেলহাজতে প্রেরন করে এসআই আল মামুন। মামলা সৃত্রে জানাযায়, বরগুনা জেলার ট্রাক ড্রাইভার আ: ছালাম লাহারহাট ফেরীঘাট এলাকা থেকে কাচকি মাছের চালান নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বিশ্ব বিদ্যালয় এলাকায় পৌছালে রথী, রাসেল, আনোয়ার সহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজন মিলে মারধর করে টাকা ,মোবাইল নিয়ে যায়।ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার সময়কালে বন্দরথানার এস আই আল মামুন রথীকে আটক করে অপর আসামীরা পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, গত ২৭ শে এপ্রিল রাতে লাহারহাট এলাকা থেকে ট্রাকে কাচকি মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় দিনারের পুল এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সুজন, রাসেল আকনসহ ৭/৮ জন মিলে ট্রাক থামিয়ে সাহেবেরহাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী রিয়াজকে মারধর করে ২০ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।এসময় রিয়াজকে তারে এই বলে হুমকি দেয় এ রুটে মাছ ব্যবসা করতে হলে প্রতি রাতে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে।একাধীক সুত্র জানায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজনের সকল অপকর্মের সহযোগী রাসেল আকন, রথী খান, আনোয়ার, রায়হান, জহির, শিপন।সুজনের নির্দেশে নেহালগঞ্জ খেয়া ঘাট, লাহারহাট মাছ ঘাট, ইটভাটা, মটোরসাইকেল সমিতিসহ বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের প্রোগ্রামের নামে চালায় চাঁদাবাজী। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। সুজন ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় বন্দর থানায় রয়েছে ওসি মোস্তাফা কামাল হায়দারের নেক নজর।বন্দরথানার ওসি মোস্তফা কামাল হায়দার জানান, এই মামলার ২য় আসামী রাসেল আকনকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৭ দিনের রির্মান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।