• ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টা-ববি ডেপুটি রেজিস্ট্রারের

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত জুলাই ২৬, ২০২৫, ২১:৫১ অপরাহ্ণ
সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টা-ববি ডেপুটি রেজিস্ট্রারের

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কর্মচারীর বাসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বরুন কুমার দে’র উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।

ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর বরুন কুমার দে এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেও তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে তথ্যবিভ্রাট।

প্রথমে তিনি দাবি করেন, একজন সহকর্মীর জরুরি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পৌঁছে দিতে তিনি ওই বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার দিন তিনি ভিন্ন কথা বলেন—ওয়াশরুম ব্যবহার করতে এসেছেন এবং ওই বাসার ওয়াশরুমটি পছন্দ হওয়ায় এসেছেন।

যাকে ‘সহকর্মী’ বলা হচ্ছে, তিনি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত নার্স মাসরুফা হাসান, যিনি একজন কর্মচারী। বরুন কুমার দে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের দায়িত্বে আছেন।

ঘটনার সময় তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা মাইনুলকে ফোন করার কথা বলেন।তবে ঘটনার দিন মাইনুল বলেন, তাকে কেউ ফোন করেননি; তিনি নিজেই নিচ থেকে দেখে এসেছেন। এমনকি বরুন কুমার দে মাইনুলকে “আপন ভাই” বলেও পরিচয় দেন।

অন্যদিকে বরুন কুমার দে দাবি করেন, তার ঘরের দরজা জোরপূর্বক খোলার চেষ্টা করা হয়েছে বাড়ির মালিকের অনুমতি ছাড়াই, এবং তার ঘর তছনছ করা হয়েছে।

তবে ঘটনার দিন কেয়ারটেকারের মাধ্যমে দরজা খুলতে বলা হয় এবং কেয়ারটেকার নিজেই ঘরে প্রবেশ করেন। কেয়ারটেকার মাসরুফ হাসানকে ফোন করলে তিনি জানান, বাসায় তার ছোট বোন রয়েছে।

পরবর্তীতে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বরুন কুমার দে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে।

অথচ পরে তার পছন্দের সাংবাদিকদের মাধ্যমে করা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছে—যা বরুন কুমার দে’র বক্তব্যে স্ববিরোধিতা এবং মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে।

এদিকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার বরুন কুমার দে প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন,যেখানেও তিনি একাধিক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী জানান,ঘটনার পর পর‌ই কর্মচারী মাসরুফা হাসান রাতারাতি তার বাসা পরিবর্তন করে ফেলেন। তারা জানান, তিনি মুন্সি গ্যারেজে বাসা নেন যেটা বরুন কুমার দে এর বাসার কাছাকাছি।

উল্লেখ্য,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিবাহিত নারী কর্মচারীর বাসায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার আটক শিরোনামে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে নিউজ প্রকাশ হয়।