• ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

দাম নিয়ে দ্বিমত ক্রেতা ও বিক্রেতার!

শেষ মুহুর্তে নগরীতে জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত অক্টোবর ১৬, ২০২৩, ১৬:০০ অপরাহ্ণ
শেষ মুহুর্তে নগরীতে জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা

রুপন কর অজিত: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজা শুরু হতে চারদিন বাকি।তাই বরিশালের মার্কেটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা রয়েছে ক্রেতাদের চাপ। ক্রেতারা তাদের পরিবারের জন্য সাধ্যের মধ্যে সাধ পূরণে চেষ্টা করছেন।তবে দাম নিয়ে দ্বিমত রয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) নগরীর কাঠপট্টি,চকবাজার, গীর্জামহল্লা ও সদর রোডে বস্রোবিতান ও বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এসব শপিংমলের দোকানিরা জানিয়েছেন, পূজার বিক্রি শুরু হয়েছে আরো কিছুদিন আগে থেকে।তবে পূজা খুবই সন্নিকটে থাকার কারনে সব দোকানেই কম বেশি ভিড় রয়েছে। যারাই আসছেন কিনছেন।দামের বিষয় বিক্রেতার বলছেন সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।আমাদের ও বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে।

বাজাররোড ভগবতী বস্রালয়ের বিক্রয় প্রতিনিধি সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, গত দশ পনের দিন আগে থেকেই পূজার বিক্রি শুরু হয়েছে।তবে গত দুদিন ধরে বিক্রি ভালো। আমাদের মার্কেটে কাস্টমাররা আসছেন এবং তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্য পছন্দের পোশাক কিনে বাড়ি ফিরছেন। তিনি আরো বলেন,সবসময়ই দুর্গাপূজাতে বিক্রি ভালো হয়, সামনের দিনে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।বাড়তি দামের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন আমাদের কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বরিশাল চকবাজারে পূজার কেনাকাটা করতে এসেছেন গুঠিয়ার ব্যবসায়ী কানাই দে। তিনি জানান ,হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় উৎসব এই দূর্গা পূজা। পরিবার পরিজনদের সাথে নিয়ে পূজার এই আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই।কিন্তু ব্যবসার কারনে সময় একটু কম পাই। পূজা ঘনিয়ে আসার কারনে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে চলে আসলাম। কিন্তু মার্কেটে অনেক ভিড় থাকার একটু কষ্ট হচ্ছে। তিনি আরো জানান,গত বারের তুলনায় এবছর দামটা একটু বেশি হলেও সাধ্যের মধ্যে পরিবারের জন্য পণ্য কিনতে পেরে ভালো লাগছে।

নগরীর কলেজ এভিনিউ এর বাসিন্দা সুবল দত্ত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। তিনি জানান,অফিসের ব্যস্থতা বেশি ও ছুটি না থাকায় এখনো পরিবার পরিজন দের জন্য কেনাকাটা করতে পারিনি।পূজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন থাকার কারনে আজ অফিস শেষে পরিবার নিয়ে মার্কেট করতে এসেছি।কিন্তু গরম ও ভিড় থাকা একটু কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, কাটপট্টি ও চকবাজাট পাশাপাশি। আর এখানে আসলেই মোটামুটি সবকিছুই পাওয়া যায়। কাপড় থেকে শুরু করে গয়না, জুতা, কসমেটিকসসহ যাই প্রয়োজন নিতে পারি। আর সবকিছুর মতো পণ্যের দামটা আগের তুলনায় অনেক বেশি। মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে দামটা সহনীয় করা সহ কতৃপক্ষের কঠোর নজরদারির দরকার বলে জানান তিনি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশালের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী  বলেন,জনস্বার্থে আমাদের বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।অযথা কেউ মূল্য বৃদ্ধি করবে তা হবে না।ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন কোন ঘটনা ঘটলে প্রমানসহ লিখিত অভিযোগে অবগত করুন বা ১৬১২১ নম্বরে যোগাযোগ করুন।অভিযোগ প্রমানিত হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সামনে পূজা পর্যন্ত দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তেমন কোন কর্মসূচি না দেওয়াটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নগরীর ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, পূজার মধ্যে আমাদের অনেক টাকার ব্যবসা হয়। সুতরাং আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে কর্মসূচি দেবেন বলে এমন প্রত্যাশা করেন তারা।

তবে পূজা কাছাকাছি চলে আসায় বাকি কয়েক দিনের বিক্রি জমে উঠবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।অন্যদিকে পছন্দের আকর্ষণীয় পোশাক মানে ও দামে  সাধ্যের মধ্যে থাকবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।এবারের শারদীয় দূর্গা পূজায় পছন্দের পোশাক নিয়ে হাসিমুখে ঘরে ফিরবেন ক্রেতারা, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।