• ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শেবাচিমে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি স্বাস্থ্যসেবা

admin
প্রকাশিত মার্চ ৬, ২০১৯, ১৩:১৬ অপরাহ্ণ
শেবাচিমে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি স্বাস্থ্যসেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা। এ থেকে উত্তরনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগ মাঝে মাঝে আলোর মুখ দেখলেও বার বারই মুখ থুবরে পড়ছে। হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মচারীর সাথে একটি দালাল চক্র যোগ হওয়ায় কোন ক্রমেই যেন এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাচ্ছেনা। দৃশ্যত পরিস্থিতি পাল্টে গেলেও মুলত সরসের মধ্যেই রয়ে গেছে ভুত। আর এজন্য এখন দরকার সাড়াশি অভিযান। এদিকে এই সিন্ডিকেটের অপকর্ম সম্পর্কে শেবাচিমের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন নিজেও ওয়াকিবহাল আছেন দাবী করে তিনি বলেন, অনিয়ম অপকর্ম রুখতে নানামুখি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ৬৪ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আলাদা মনিটরিং ও ব্যবস্থা গ্রহন কমিটি গঠন, বিতর্কিতদের ৩মাস পরপর কর্মস্থল পরিবর্তন অনেকগুলো পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, জরুরী বিভাগ, খাদ্য ও পথ্য বিভাগ, ওষূধ সরবরাহ, রোষ্টার বাণিজ্য সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই চক্র তাদের তৎপরতা চালাচ্ছে দাপটের সাথে। নিয়মিত মাশোহারা আদায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ফুড সাপ্লিমেন্ট ছদ্মনাম (পট) কোম্পানির ওষুধ বিক্রি, কর্মচারীদের ব্যাক্তিগত কাজে খুটিনাটি ধরে জিম্মি, বদলীর ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, চাহিদা মত জায়গায় রোষ্টারে ডিউটি দেয়া, ওটিতে রোগীর ওষুধ চুরি, পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ডক্টরস ল্যাবে পাঠানো, মেহেন্দিগঞ্জ ফার্মেসির সাথে ওষুধ বানিজ্য অবৈধ আয়ের এসব কাজগুলো করছে যেন পরিকল্পিত ভাবেই। এ চক্রের মূল হোতা ব্লাড ব্যাংকের ল্যাব সহকারি কর্মচারি আবুল কালাম (তাজুল)। এছাড়া অর্থ ওটির পলাশ মল্লিক, আনিচ, ওয়ার্ড মাষ্টার মোদাচ্ছের ও ফেরদৌস, গাইনি ওটির আকলিমা, তহমিনা, অর্থপেডিক ওয়ার্ডের রিনা বেগম, সার্জারী ওয়ার্ডের রাশিদা, রেহানা সহ প্রায় ২৪ জন এই চক্রের সাথে সক্রিয় রয়েছে। এরা যে কেউ ধরা খেলে চক্রের নেতা তাজুল তাদেরকে সেল্টার দিয়ে থাকে। সে নিজেকে কখনো পরিচালকের লোক আবার কখনো মেয়রের লোক পরিচয় দিয়ে এসব দাপট খাটাচ্ছে। এসব অপকর্ম করে বার বার পার পেয়ে যাওয়ায় শেবাচিম কর্মচারীদের কাছে এখন তাজুল এক মুর্তিমান আতংক। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের মুল হোতা আবুল কালাম তাজুল বলেন, মেয়র আমাকে চাকরী দিয়েছে। আমি কোথাও মেয়রের নাম বিক্রি করিনা। তাছাড়া মেহেন্দিগঞ্জ ফার্মেসি আমার ভাইয়ের, সেখানে আমি যেতেই পারি। ডক্টরস ল্যাবে আমি কোন রোগী পাঠাইনা। অপরদিকে ওয়ার্ড মাষ্টারের দায়িত্বে থাকা মোদাচ্ছের বলেন, রোষ্টার বাণিজ্য আমরা করিনা। আর বাহিরে রোগীকে টেষ্ট করতে ওয়ার্ড বয়রা পাঠায়, সেটা তাদের দায়ভার। কোন দালালের সাথে সখ্যতা নেই বলেও দাবী করেন তিনি।