এম ফোরকান ॥ শুরু হয়েছে বরিশাল জেলা ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতির কাজ। ইতোমধ্যে প্রতিদিন শত শত লোক স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দিন ভর ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। চলছে জঙ্গল, লতা-পাতা সাফ অর্থাৎ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। বরিশাল জেলা ইজতেমার এবারের ভেন্যু নির্ধারন করা হয়েছে সদর উপজেলার পশ্চিম পাশে মরপাড়া নামক এলাকায়। প্রায় ১৫০ একর জমি ইজতেমা প্রাঙ্গনের আওতায় আনা হয়েছে। বরিশাল হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা মারকাজ মসজিদের ইমাম মোহাঃ মহসিন হোসেন’র দেওয়া তথ্য মতে, জানুয়ারী ২০১৮ এর ২৫, ২৬ এবং ২৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে জেলা ইজতেমা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছনাতার কাজ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বরিশালে দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা ইজতেমা। ২০১৫ সালে ঢাকা কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বীদের (সুরার সদস্য) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা ইজতেমার আয়োজন করা হয়। মূল উদ্দেশ্য টুঙ্গীর তুরাগ তীরে অসংখ্য মুসুল্লীদের সংখ্যা কমিয়ে আনা। অর্থাৎ যারা বরিশাল জেলা ইজতেমায় আসবেন তাদের তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর ইজতেমায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মুরুব্বীদের সিদ্ধান্তের প্রথম বছরই ৩২ জেলার মধ্যে বরিশাল অন্তর্ভূক্ত হয়। ২০১৭ সালের জেলা ইজতেমায় বরিশাল না থাকলেও ঝালকাঠী জেলা তালিকায় ছিলো। ফলে অনেক বৃদ্ধ, অসচ্ছল এবং অসুস্থদের পক্ষেও ইজতেমায় অংশ নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। জানুয়ারীতে পুনরায় বরিশালের সরদার পাড়া সংলগ্ন এলাকায় ইজতেমার ভেন্যু পড়ায় মুসল্লীদের মাঝে বিরাজ করছে খুশির আমেজ আর উদ্দীপনা। অপরদিকে টুঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে চলছে ১৭ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত “জোড়”। জোড় শেষ হওয়ার পর ২২ নভেম্বর কাকরাইল মসজিদ সহ দিল্লীর হযরত নিজামুদ্দিন (রঃ) মাদ্রাসার উচ্চ পর্যায়ের মুরুব্বীদের দল বরিশালে আসছেন। জেলা ইজতেমা সফল করতে বিসিসি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন’র সাথে বৈঠক করবেন। সূত্র জানায়, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। বৈঠক শেষে প্যান্ডেল তৈরীরর জন্য বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাঁশ আসতে শুরু করবে। সবচে বেশি বাঁশ আসে আগৈলঝাড়া এবং গৌরনদী উপজেলা থেকে। ইজতেমার জন্য সকল কাজই স্ব-ইচ্ছা প্রণোদিত হয়ে সকলে করে থাকেন। সূত্র মতে, সময় খুবই কম অথচ কাজ অনেক। শত শত টয়লেট নির্মান, ওযুর পানির ব্যবস্থা করা, বিকল্প হিসেবে বিদ্যুতের জন্য জেনারেটর, অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মান, ফায়ার সার্ভিস’র জন্য স্থান নির্ধারন, ষ্টেজ ও প্যান্ডেল তৈরী সহ অনেক কাজ। তাই ইতোমধ্যে ইজতেমা প্রাঙ্গনের কাজ বেশ জোড়ে সোরেই শুরু হয়েছে। মহান আল্লাহর একটু করুনার আশায়, তার খুশির জন্য সকলেই সেচ্ছাশ্রমে ব্যস্ত। হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা মারকাজ মসজিদের ইমাম মোহাঃ মহসিন হোসেন দাবী করেন বিগত বরিশাল জেলা ইজতেমায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক মুসুল্লীর আগমন ঘটেছিল। এবার প্রায় দ্বিগুন মুসুল্লী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই ইজতেমা প্রাঙ্গনের জমির পরিমানও বাড়ানো হয়েছে।