উত্তম কুমার, বাকেরগঞ্জ ॥ শিক্ষিকার বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছে বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়নের উত্তর বাগদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ। গত বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালী সময় ঘটনাটি ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে বিকেল ৩টার দিকে অভিভাবকরা বাকেরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। আহত সাজিদ কলসকাঠী ইউনিয়নের চৌনগর গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান। সাজিদের অভিযোগ, ২য় প্রিয়ডের (ক্লাসের) পরে অন্যন্য ছাত্রদের ন্যায় সেও মাঠে খেলতে নামে। সেখানে ছাত্রদের মধ্যে শোরগোল হচ্ছিল। এতে ওই শিক্ষিকা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি নিয়ে এসে ১ম শ্রেণির ওই ছাত্রকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এরপর শিক্ষিকা ওই ছাত্রকে ক্লাশ থেকে বের করে দেয়। সাজিদ নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যায়। সাজিদের পিতা আ: হক হাওলাদার ফসলের মাঠ হতে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনা জানতে পেরে আহত অবস্থায় সাজিদকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, সাজিদের বুকে প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সাজিদের বাবা কৃষক আব্দুল হক বলেন, এমন কি অপরাধ করেছে যে এভাবে পিটাতে হবে। তিনি ওই শিক্ষিকার বিচারের দাবি করেছে। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা বেগমের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন, সাজিদ অত্র বিদ্যালয়ের সামনে টানানো জাতীয় পতাকা স্ট্যান্ড থেকে রশির গিট খুলে ফেলে। সে কারণে তাকে পিটানো হয়েছে। সাজিদ এত অসুস্থ্য হয়ে পড়বে তা বুঝতে পারিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশু সাজিদকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, বেত্রাঘাত নিষিদ্ধ থাকলেও উত্তর বাগদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো কেন শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়?