নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নগরীর কাশিপুর এলাকায় প্রতারক ভূমিদস্যু শামসুল হক মাঝির কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন বরিশাল ক্যাডেট কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বেলাল হোসাইন। ওই প্রতারক চক্র জমি বিক্রীর ১৫ লাখ টাকা নিয়ে বেলাল হোসাইনকে জমি দিচ্ছেন না। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসাইন টাকা ফেরৎ চাইলেও নানা টালবাহানা শুরু করেছেন ভূমিদস্যু শামসু। শুধু বেলাল হোসাইনই নয় এভাবে আরো অনেক লোকজনের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ওই ভূমিদস্যু। জমি নিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে তার মামলাও চলছে।
প্রতারণার শিকার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বেলাল হোসাইন জানান, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে নগরের ২৮নং ওয়ার্ডের কাশিপুর চহুতপুর এলাকায় শামসুল হকের কাছ থেকে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন বেলাল হোসেন। প্রাথমিকভাবে বায়না চুক্তি হিসেবে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয় । ওই বছরের ৫ মে বাকী ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন ক্রেতা বেলাল হোসেন। টাকা পরিশোধের ১০ মাস পর চলতি বছরের ৮ জানুয়ারী সাব রেজিস্টার অফিসে জমির রেজিস্ট্রি হয়। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার পর থেকে কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও জমি বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন বেলাল হোসেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য শামসুল হককে বললেও তাতে কর্ণপাত করছেন না। বেলাল হোসেন অভিযোগ করেন, জমি বিক্রীর নামে তার সাথে বড় ধরনের প্রতারণা করা হয়েছে। যা পরে আমি বুঝতে পেরেছি। প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপের অনুরোধ করলে সার্ভেয়ার থেকে প্রাপ্ত নোটিশ উপেক্ষা করে শামসু মাঝি। সার্ভেয়ার যখন চৌহদ্দি মোতাবেক জমি পরিমাপ করতে আসে তখন দলিল অনুযায়ী ওই জমির কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে আমি
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় ১১ এপ্রিল একটি সাধারন ডায়েরী করি। প্রতারক শামসুল হক মাঝির প্রতারণা নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে সদ্য বিদায়ী পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে বিমান বন্দর থানার এসআই মোঃ শামীম এ ঘটনার তদন্ত করছেন। জানতে চাইলে এসআই শামীম বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছি। সাক্ষীদের সাথে কথা বলা হয়েছে। এখনো রিপোর্ট প্রদান করা হয়নি।
বেলাল হোসেন জানান, জমি ক্রয়ের টাকা পরিশোধের সময় কাশিপুর বাজার কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির ও আমির হোসেনকে সাক্ষী রাখা হয়। তারাও টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য বলছেন কিন্তু কারো কথাই কর্ণপাত করছেনা শামসু।
কাশিপুর বাজার কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, স্যার আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে এসেছিলেন। আমারও বিষয়টি খারাপ লাগছে। কারণ জমি যেখান থেকে দেয়ার কথা সেখানে না দিয়ে অন্য দাগে দেয়ার কথা বলছে শামসু মাঝি। শুধু তাই নয় জমি বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললেও টালবাহানা করছে শামসু মাঝি। আমি শামসুকে ডেকে এনে জমি দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলেছি।