প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা কলি’ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার (২ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথা জানান।
বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এনসিপির ওই প্রতিনিধিদল সিইসির নেতৃত্বে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে। মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম-সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে নাসীরুদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, জনতার কাছে এরমধ্যেই শাপলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আবার শাপলার সঙ্গে কলিও যোগ হচ্ছে। আমরা এটা পজিটিভলি নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনকে বলেছি দ্রুতগতিতে এনসিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
এনসিপির এ মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, আগামী নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ ধানের শীষ (বিএনপির প্রতীক) এবং শাপলা কলির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করে ’৭২ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে বের করা হয়েছিল, একটি দল এখন আবার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলের কাছে নিজেদের প্রতীক বিক্রি করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে।
‘নির্বাচন সংস্কার কমিশন যে উদ্যোগ নিয়েছিল সে উদ্যোগের বিপরীতি গিয়ে বিভিন্ন সমঝোতা-বোঝাপড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা ইসিকে বলেছি, কোনো দলের প্রতীক কোনো নমিশন বাণিজ্যের প্রতীক হতে পারে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা শাপলা কলি নেব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, আমরা বলছি শাপলার কথা। কিন্তু আমরা এখনো ব্যাখ্যা পাইনি নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারী আচরণের। কিন্তু এখন কী তাহলে আমরা প্রতীক নিয়ে পড়ে থাকবো? আমরা ইলেকশন ফেজে ঢুকবো না? তো সেই জায়গা থেকে আমরা বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে এই ডিসিশনটা নিয়েছি। কিন্তু ইলেকশন কমিশনের যে স্বেচ্ছাচারী আচরণ এটা পুরো বাংলাদেশের সামনে স্পষ্ট হয়েছে। আমরা ইনশাআল্লাহ শাপলা কলি নিচ্ছি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংগঠকদের একটি অংশের নেতৃত্বে গঠিত দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন বেগুন, বেলুনসহ ৫০টি প্রতীক থেকে মার্কা বাছাইয়ের অপশন দেয়। কমিশনের যুক্তি ছিল, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় শাপলা প্রতীক না থাকায় তা দেওয়া সম্ভব নয়। ইসির এই অবস্থানের প্রেক্ষিতে এনসিপি ঘোষণা দিয়েছিল, শাপলা ছাড়া তারা নিবন্ধন নেবে না।
পরবর্তী সময়ে পরিচালনা বিধিমালা পুনরায় সংশোধন করে ইসি শাপলা কলি প্রতীকটি যুক্ত করে। তবে এনসিপি চেয়েছিল শাপলা, লাল শাপল বা সাদা শাপলা।