• ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

লালমোহনে ২ শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২৫, ১৯:৩২ অপরাহ্ণ
লালমোহনে ২ শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

লালমোহন প্রতিনিধি॥ ভোলার লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব এর অপসারণ ও তাদেরকে লালমোহনে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১ টায় লালমোহন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের উপর মানববন্ধন করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-জনতা এবং বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে এই দুই শিক্ষকের অপসারণ দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ দুই শিক্ষক পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর হঠাৎ ১৫ মে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত হন।

প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসছেন এই খবর পেয়ে তার কাছ থেকে টাকা পাবে এমন লোকজন স্কুলে গিয়ে হাজির হন। স্কুলের বাহিরে লোকজন জড়ো হচ্ছে এই খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন একজনের সহায়তায় দ্রুত স্কুল থেকে বের হয়ে চলে যান।

জানা যায়, ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের চাচাতো ভাই এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়ব চাচাতো বোন জামাই।

এই সুবাধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা লালমোহন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি, বাজারের যায়গা, পুকুর বিক্রি করেন।

এই বিক্রি বাবদ প্রায় ৩৪৮ জনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নেন। কিছু লোককে জমি, বাজারের ঘর বুঝিয়ে দিলেও অনেকের টাকা তারা আত্নসাৎ করেন।

সাবেক এমপির আত্নীয় হওয়ার সুবাধে তখন তাদেরকে কেউ কিছু বলতে সাহস পেত না এবং তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্কুলে অনেক শিক্ষককে অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রদান করেন।

পরে সারা দেশের ন্যায় লালমোহন উপজেলার এই স্কুলটি সরকারি করণ করা হয়। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর তারা জনরোশের ভয়ে স্কুলে আসেসনি এবং লালমোহনেও তাদেরকে দেখা যায়নি।

এর আগে প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের বিভিন্ন অনিয়ম ও স্কুলে না আসায় তাকে অপসারন করতে ছাত্র জনতা একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।