• ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

লালমোহনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ২৮, ২০২৪, ২১:২৩ অপরাহ্ণ
লালমোহনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ

আরশাদ মামুন, লালমোহন॥ লালমোহন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের। কারও ঘের, কারও পুকুর, সবকিছু থেকেই অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে মাছ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৭৭৮টি ঘের ও পুকুর থেকে পানির সঙ্গে ভেসে যায় দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের ছোট-বড় মাছ। টাকার পরিমাণে যার সংখ্যা ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। লালমোহনের দক্ষিণ বালুরচর এলাকার আলমগীর বলেন, আমার একটি পুকুরে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের অন্তত এক লাখ টাকার মাছ ছিল।

ওইসব মাছ রক্ষা করতে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি দেখে পুকুরের চারদিকে জাল দিয়ে ভেড়া দিয়েছি। তবুও মাছগুলো রক্ষা করতে পারিনি। চোখের সামনেই পানির সঙ্গে ভেসে গেছে আমার পুকুরের সব মাছ।

ওই এলাকারই আরেক মাচাষি নাজিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমি পুকুরে মাছ চাষ করছি। এসব মাছ বিক্রি করে বাড়তি আয় হয়। তবে রোববার থেকে সোমবারের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে আমার দুইটি পুকুরই পানির নিচে তলিয়ে যায়।

এতে করে পানিতে ভেসে গেছে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় মাছ। উপজেলার সিকদার হাট এলাকার আব্দুল মালেক ও বজলু বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে ঘেরে আমরা কয়েকজন মিলে যৌথভাবে মাছ চাষ করে আসছি।

তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতিরিক্ত পানিতে আমাদের ঘেরের সব মাছ চলে গেছে। এতে করে আমাদের অন্তত তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা সরকারি সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে মৎস্য চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এরইমধ্যে আমরা ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে বরাদ্দ পেলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তা ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।