এ.এ.এম হৃদয় ॥ অব্যবস্থাপনা, জরাজীর্ণতা, স্থানীয়দের বেলাল্লাপনা, অনিরাপত্তা ও জনবল সংকটে যক্ষ্মা হাসপাতাটির রক্ষা হচ্ছে না। উর্ধ্বতন দপ্তরের চিঠি চালাচালি করেও নগরীর হাসপাতালটির সুরক্ষা মিলছে না। যেকারনে যক্ষ্মা হাসপাতালটি পরিণত হয়েছে মাদকসেবী, ভাসমান পতিতা, কপোত কপোতীদের অবৈধ কার্যকলাপের অভয়াশ্রমে। অপ্রতুল জনবল যা রয়েছে তারও ডিউটি করতে পারছে না এহেন উৎপাতের কারনে। আর এতে রোগীও থাকছেনা ২০ সয্যার এ বক্ষব্যধী হাসপাতালটিতে। ৪ জন রোগী থাকছেন বছর জুড়ে। সকালে এ রোগীরা বের হয় জিবীকার খেঁঅজে, আর রাতে ফেরে থাকার জন্য। কারন তাদের আবাসস্থল নাই। এ ব্যাপারে চিকিৎসাধীন বিউটি ও মুক্তা বলেন হাসপাতালটিতে নিরাপত্তা প্রহরী নাই। যেকারনে রাতে অন্য ষ্টাফরা কিচু সময় থেকে চলে যায়। কারন বাহিরাগতদের অবৈধ আনাগোনা বেড়ে যায় হাসপাতালটিতে। প্রধান ফটক ও সীমানা প্রাচীরের ভগ্মদশা বক্ষব্যাধি হাসপাতালটিকে আরো অনিরাপদ করে তুলেছে। এদিকে নগরীর আমানতগঞ্জ বক্ষ্মব্যাধি হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ ফারহান বলেন, আমরা গত বছর সিভিল সার্জন দপ্তরে হাসপাতালটির নানামুখি সমস্যা নিয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এতে কোন ফল হয়নি। অনিরাপত্তার কারনে রাতে কেউ ডিউটি করতে চায়না। এনিয়ে পুলিশকে বললে মাঝেমাঝে উকিদিয়ে চলে যায় কাজের কাজ কিছুই হয়না। আর হাসপাতালের ভবন গুলোর দরজা জানালা ভাঙ্গা থাকার কারনে মাদকসেবী ও চোর আনাগোনা করে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটে। এনিয়ে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, সম্প্রতি অতিরিক্ত সচিব এসে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। এ সম্পর্কিত একটি ফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠান হয়েছে। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য প্রকৌশলী দপ্তরে অবকাঠামো সমস্যা গুলো জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোন ফলাফল দৃশ্যমান হয়নি।