স্টাফ রিপোর্টার ॥ 
হাট-বাজার-ঘাট দখলের পর এবার মহাসড়কের জমি দখল করে বিএনপির কার্যালয় নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বরিশাল নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডের কাশিপুর চৌমাথা বাজার সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে কার্যালয়টি। তবে বিএনপির দাবী এটি কোন কার্যালয় নয়।
এটি যে নির্মাণ করেছেন সে বিএনপির কেউ না। সে অবৈধভাবে কাপড় দিয়ে কার্যালয়টি স্থাপন করেছেন। বিষয়টি আমরা বিএনপির উর্ধতন নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন। স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, কাশিপুর চৌমাথা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বিএনপি নেতা মোঃ শাকিল কার্যালয়টি নির্মাণ করেছেন।
মহানগরীর ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় থাকা সত্যেও অবৈধভাবে আরেকটি কার্যালয় নির্মাণ করেছেন সে। এতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পাশাপাশি শাকিলের কর্মকান্ডে মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিব্রত। সরেজমিনে দেখা গেছে, কাশিপুর চৌমাথা বাজার সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে কার্যালয়টি। কার্যালয়টিতে টানানো রয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি।
তবে স্থায়ী কোন স্থাপনা নির্মাণ করেনি তিনি। কাপড় দিয়ে কার্যালয়টি স্থাপন করেছেন। কার্যালয়টিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি চেয়ার। এছাড়া রাত্রিকালীন বাতিরও ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সম্প্রতি কাশিপুর চৌমাথা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নির্বাচনে হেরে যায় মোঃ শাকিল। এরপর সে আধিপত্য বিস্তারের জন্যই এ ধরণের কর্মকান্ড করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে মোঃ শাকিল বলেন, আমার ফ্যামিলিতে কোন আওয়ামীলীগ নেই।
৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে যারা রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারে আওয়ামীলীগ রয়েছে। আমরা তাদের নেতৃত্বে থাকতে চাই না। তাই আদালা হয়ে কার্যালয়টি স্থাপন করেছি। কার্যালয়টি মহাসড়কের থেকে অনেক দূরে স্থাপন করা হয়েছে। তারপরেও যদি মহাসড়কের জমি হয়ে থাকে আমরা ১৬ ডিসেম্বরের পরে কার্যালয়টি সরিয়ে নেবো।
এ বিষয়ে ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সবিজ বেগ মিসাদ বলেন, ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়টি গরিয়াড় পাড়ে অবস্থিত। কাশিপুর চৌমাথায় যে কার্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে সেটি বিএনপির কার্যালয় নয়। যে কার্যালয়টি স্থাপন করেছেন সে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের কেউ না। বিষয়টি আমরা মহানগর বিএনপিকে অবহিত করেছি।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, ওই স্থাপনাটি বিএনপির কার্যালয় নয়। তাছাড়া ওয়ার্ড বিএনপিতে শাকিলের কোন পদ আছে কিনা তা আমার জানা নেই। বিএনপির নাম ব্যবহার করলে অব্যশই তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।