• ৩০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, নৌকার কর্মী গ্রেপ্তার

admin
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০১৯, ১৩:৫১ অপরাহ্ণ
মঠবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, নৌকার কর্মী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজউদ্দিন আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জনি নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। ওই যুবককে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের একটি বিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজুল ইসলামের পক্ষে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত জনি তালুকদার মঠবাড়িয়া উপজেলার হলতা-গুলিশাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও ইউনিয়নের কবুতরখালী গ্রামের হাতেম আলী তালুকদারের পুত্র।

এ নিয়ে শুক্রবার থেকে এ দু’গ্রুপের মধ্যে তিন দফা হামলার ঘটনা ঘটলো। শনিবার গভীর রাতে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীরা হামলা করে নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোসারেফ সাকু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলতা-গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ ১৯ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে।

শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে গুলিশাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এর আগে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন এ দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী আসলাম জমাদ্দার জানান, আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোসারেফ সাকু তার সমর্থকদের নিয়ে গুলিশাখালী বাজারে জনসংযোগে গেলে আনারস প্রতীকের আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এর সমর্থকেরা পেছন থেকে হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোসারেফ সাকুর পায়ে ও হাতে কোপায়। এতে মোসারেফ সাকুর ডান হাতের দুটি আঙুল এবং পায়ের গোড়ালিতে কুপিয়ে জখম করেছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন অংশে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলতা-গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোর মাথায় কোপ লেগে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় মোসারেফ সাকুর আরো ১৭ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মোসারেফ সাকু, রিয়াজুল আলম ঝনো, মো. বাবুল (৪০) ও মোতালেব তালুকদারকে (৪৫) গভীর রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যান্য আহতেরা হলেন, রাজিব (৩০), বাদল সিকদার (৪০), জুনায়েদুর রহমান (৩৮), নয়ন মৃধা (২৫), জাহাঙ্গীর তালুকদার (৫২), যুব মহিলা রোজি (২৪), জালাল তালুকদার (৪৫), নাসির উদ্দিন (২৮), রাজু (২৫), জসিম (২২), মনির চৌকিদার (৩০), স্বপন ফরাজী (৪২), আব্দুর রহমান (৩৯), মো. আলমগীর (৩৫) ও নাঈম (২২)। আহতরা সবাই মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও কর্মী। এ বিষয় জানতে চাইলে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মোঃ শওকত আনোয়ার জানান, হামলার সাথে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার পর গুলিশাখালী গ্রামে সোমবার আবার সংঘর্ষ হলে উভয় পক্ষের ১০/১২ জন সমর্থক আহত হয়। গুরুতর আহত জনিকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা জান।