বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ ভোলায় দারুল হাদীস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস, সদর উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিব ও ইসলামিক বক্তা মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে (৪৫) নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে তার জানাজা থেকে ৩ দফা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম।
আজ বিকেল ৩টার দিকে নোমানীকে তার প্রতিষ্ঠিত মাওলানা এনামুল হক নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ঘোষিত ৩ দফা কর্মসূচি-
১. আগামীকাল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে,
২. এদিন বেলা ১১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও শোক র্যালি শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে এবং
৩. আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হবে।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নোমানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম। দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের ১৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাইন পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় কেউ মামলা করেনি। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনার ক্লু উদঘাটনে কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় এশার নামাজ শেষে নিজ বাড়িতে মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুর খবরের পরপরই রাতে ইসলামী দলগুলো হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে খুনিদের বিচার চেয়ে ঝটিকা মিছিল করে। এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে খুনিদের গ্রেপ্তার করের দাবি জানান।
এদিকে নিহতের পরিবার বলছে, পারিবারিকভাবে আলোচনা করে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।
