• ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভোলার সাংবাদিকের তুহিনের মামলায় হেলেনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মার্চ ২১, ২০২৩, ১৯:৪৯ অপরাহ্ণ
ভোলার সাংবাদিকের তুহিনের মামলায় হেলেনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ ভোলার সাংবাদিক আবদুর রহমান তুহিনের দায়ের করা প্রতারণা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি জারি করেছে আদালত। রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা মামলায় ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। কারাদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয় আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের কারা ভোগ করতে হবে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রবিবার এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদন্ড অন্য আসামীরা হল জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অডিনেটর সানাউল্লাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার। আদালতের রায় ঘোষণার সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ সময়ে অপর তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। গত মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামীর পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনা শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে ঢাকা পল্লবী থানায় ভোলার সাংবাদিক আবদুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণা মামলা করেন। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্লাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়াসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জন আসামি করা হয়। মামলার বাদী তুহিন অভিযোগ করেন জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে তুহিন কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলানা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইড) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন তোফাজ্জল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।