বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের এমপি আলী আযম মুকুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মামলাটির বাদী।
আসামিরা বলছে, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজনৈতিক কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগষ্ট) সকালে দৌলতখান থানায় মামলাটি করা হয়। মামলাটির বাদী দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক মাস্টার।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যরঞ্জন খাসকেল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এমপি মুকুল ব্যতীত মামলাটির অন্য চার আসামি হলেন, দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, তার ছেলে মো: আকাশ আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আলম ও ভোলা জজ কোর্টের সাবেক পিপি মো: কিরন তালুকদার।
ওসি জানান, বুধবার সকালে মামলাটির বাদী নিজে থানায় গিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি মাসের ৩ আগষ্ট উল্লেখিত আসামিরা একত্রিত হয়ে বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওসি জানান, মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তদন্ত চলাকালে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে মামলার বাদী আব্দুল মালেক মাস্টারের সাথে এই প্রতিবেদক মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, খুব চাপের কারণে মামলাটি হয়েছে। ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি বিএনপি নেতা হাফেজ ইবরাহিম ভোলায় এলে তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার এখন ৭৪ বছর বয়স চলে। আমি খুব অসুস্থ। সবাই আমাকে ফোন করে মামলার বিষয়ে জানতে চায়। কিন্তু, আমি কি বলব? আমি খুব অসহায়।’
একপর্যায়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার কলটি রেকর্ডিং করিয়েন না এবং এ বিষয়ে নিউজ করিয়েন না। আমাকে আপনারা মাপ করে দিয়েন।’
জানতে চাইলে মামার ৫ নম্বর আসামি ভোলা জজ কোর্টের সাবেক পিপি মো: কিরন তালুকদার বলেন, মামলাটি রাজনৈতিক কারণে করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলা। সরকারের পতনের পর সুযোগ নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলাটি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি ২০২১ সাল থেকে রাজনীতি থেকে দূরে আছি। আমার স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার কারণে দেড়বছর যাবত আমি ইন্ডিয়াতে ছিলাম। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।