ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানসহ নানা কারণে তজুমদ্দিন উপজেলার অ্যাম্বুলেন্সটি ২০২০ সালের ২২ মে বিকল দেখানো হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি আউটসোর্সিং থেকে মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে ড্রাইভার হিসেবে পাঁচ দিনের ট্রেনিং করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিউনিটি বেসড হেলথ কেয়ার প্রকল্প মাধ্যমে তাকে বেতনভাতা প্রদান করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। চরাঞ্চলবাসীর কোনো কাজেই আসেনি এটি। চরাঞ্চলের মানুষ যে কোনো সমস্যায় শশীগঞ্জ স্লুইসগেটের ট্রলারে পারাপার হয়ে থাকে। রাতে কারও চিকিৎসা বা অন্য জরুরি প্রয়োজনে ঘাটের মাঝিদের ফোন দিলে তারাই পার করেন তাদের। শশীগঞ্জ স্লুইসগেটের ব্যবসায়ী মো. আব্দুল্যাহ বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের জন্য নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ দেওয়া হলেও এটি চরবাসীর কোনো কাজেই আসেনি। এ পর্যন্ত একজন রোগীও বহন করতে পারেনি অ্যাম্বুলেন্সটি। বর্তমানে শশীগঞ্জ স্লুইসগেটের দক্ষিণপাশে বেড়িবাঁধের ভেতরে একটি খালের মধ্যে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাষ্ট্রের টাকায় কেনা অ্যাম্বুলেন্সটি।
চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ বলেন, সরকার আমাদের জন্য এমন একটি বাহনের ব্যবস্থা করছে, তা আমরা জানি না। আপনাদের কাছে শুনলাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকার বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। তার পরও যতদূর জানতে পেরেছি কমিউনিটি বেসড হেলথ কেয়ার প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার কারণে এটি চালু করা সম্ভব না-ও হতে পারে। এটি একেবারেই মেরামতের অযোগ্য বর্তমানে। তবু যোগাযোগ করে দেখতে হবে অ্যাম্বুলেন্সটির কী করা যায়।