• ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভূমিষ্টের সময় নবজাতকের মৃত্যু, হত্যার অভিযোগ দাদার

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত মে ৯, ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ
ভূমিষ্টের সময় নবজাতকের মৃত্যু, হত্যার অভিযোগ দাদার
আরশাদ মামুন : ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভূমিষ্টের সময় মৃত সন্তান প্রসব করেছেন এক মা। তবে ওই নবজাতক কে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নবজাতকের দাদা লালমোহন পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: মজিবল হাওলাদার।
মজিবল হাওলাদার বলেন, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বর্ণালী সড়কের এমরান হোসেনের মেয়ে প্রিয়া আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ২০২৩ সালের ১৪ জুন পালিয়ে বিয়ে করে আমার ছেলে মারুফ হাওলাদার। তবে ওই বিয়ে না মেনে উল্টো মেয়েকে অপহরণের কাহিনি সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন প্রিয়ার বাবা এমরান।
এদিকে প্রিয়া গর্ভবতী হওয়ায় তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে থাকতে দেন বিজ্ঞ আদালত। আজ বুধবার (৮ মে) লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে প্রিয়া।
মজিবল হাওলাদার আরও বলেন, প্রিয়ার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে আগে থেকেই মরিয়া ছিল তার পরিবার। আমরা হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, হাসপাতালে আনার আগেই বাড়ি থেকে নবজাতককে মৃত করে আনা হয়েছে। প্রিয়ার বাবা-মা নবজাতককে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ করেন মজিবল হাওলাদার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিয়ার বাবা মো: এমরান বলেন, প্রিয়ার প্রসব বেদনা উঠলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে মৃত সন্তান প্রসব করে প্রিয়া। আমরা নবজাতককে হত্যা করিনি, হাসপাতালে এসে জানতে পারেন।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স খাদিজা আফরোজ সাথে আলাপকালে তিনি জানান, প্রিয়া নামের প্রসূতি মাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে আমরা অন্যান্য প্রসূতির মত স্বাভাবিক দেখেছি। তবে অন্যান্যদের তুলনায় বাচ্চার নড়াচড়া কম ছিলো। পরে ডেলিভারি করালে মৃত সন্তান জন্ম দেন প্রিয়া।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এমন কোনো তথ্য পাইনি।