বেতাগী প্রতিনিধি॥ বরগুনার বেতাগী তহশিলদারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির মামলা হয়েছে বরগুনা জজ আদালতে। বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাঠি গ্রামের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মো: নুরুল আমিন বাদী হয়ে ভূমি অধিকার ও প্রতিরোধ আইন ২০২৩ এর ৪/৫/৬/১৬ ধারায় বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেস্ট কোর্টে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলা করেন।
এই মামলায় উল্লেখিত আসামিরা হলেন মো: রিয়াজুল ইসলাম, মো: আমিনুল ইসলাম, মো: মনির হোসেন, হাসান হাওলাদার, মোস্তফা হাওলাদার, সাহেব আলী, মো: জসিম উদ্দিন, চুন্নু হাওলাদার, আম্বিয়া বেগম, রোকেয়া বেগম, মোসা: কুলসুম বেগম, রফিকুল ইসলাম, শাহিনুর বেগম, শাহানাজ পারভিন, ডলি আক্তার, কলি আক্তার, পলি আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, সোহরাব হোসেন খান ও গৌতম কুমার সরকার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪২ সালে হুজ্জাত আলীর স্ত্রী ক্ষেরনবিবি এস এ ৯৬৬ নং খতিয়ানে ৩.১১ একর সম্পত্তি জবেদ আলী মল্লিককে ১৬৫১ নং খতিয়ানে দলিল মূলে বুঝাইয়া দেয়।
১৯৬০ সালে সেরজন আলী হাওলাদার ০.৭০ একর সম্পত্তি জবেদ আলী মল্লিককে ১২৬০৫ দলিল মূলে বুঝাইয়া দেয়। ১৯৬১ সালে হুজ্জত আলী এস এ ৯৬৬ নং খতিয়ানে ১.৪৯ একর জবেদ আলী মল্লিককে ৪২৪৩ ও ৪২৪৪ নং দলিলমূলে বুঝাইয়া দেয়।
গত ৯/০১/২০২৫ তারিখে ২৯/২০২৫ তর্কিত দলিল সৃষ্টি হয়। দেখা গেছে, ১৯৬১ সালে হুজ্জত আলী মল্লিক দলিল দিলেও জবেদ আলী মল্লিকের নামে রেকর্ড না থাকার কারনে ২০২৫ সালে তর্কিত দলিল সৃষ্টি হয়।
এই মামলার ৮ নং আসামি চুন্নু হাওলাদার বলেন, মামলা হয়েছে ভালো কথা, এখন সমাধান হবে।
এবিষয় মামলার বাদি নুরুল আমিন বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সঠিক বিচার দাবি করেন। মামলার তহশিলদার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মামলা সংক্রান্ত এই জমির কোন নামজারি হয়নি বিধায় স্বাক্ষর জাল হওয়ার কোন সুযোগ নেই।