এম এম আল মামুন কুড়িগ্রাম: দেশে গরমের তীব্রতা পৌঁছেছে চরমে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ২৪ এপ্রিল বুধবার কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে মুসল্লিদের নিয়ে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় এবং মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে গুনা মাফ চেয়ে প্রয়োজনীয় বৃষ্টির জন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলার ভোগডাঙ্গা, ইউনিয়ন ঘোগাদহ, ইউনিয়ন পাঁচগাছি, ইউনিয়ন মোগলবাসা ইউনিয়নে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহর পূর্ব ঘোষিত বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তিস্কার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার এসব এলাকার ঈদগাহ ময়দান, স্কুল কলেজ মাঠে বিশেষ এ নামাজটি অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে হাজারো মুসল্লি অংশগ্রহণ করে।
মোনাজাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়ে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া করেন। দোয়া করার সময় মুসল্লিরা পাঞ্জাবি ও টুপি উল্টো করে পরেন। বিশেষ এ নামাজ আদায়ের পর অনেকেই বলেন, আমার জীবনে এমন গরম দেখিনি। এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে আজ বিশেষ নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ যেন বৃষ্টি দেন, পরিবেশটা যেন ঠান্ডা হয়। মুসুল্লিরা বলেন, সারা দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম এবং ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ যেন জমিনে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন।
বিশেষ নামাজে মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা মোঃ মতিন ফারুকী বলেন, তীব্র খড়ার কারণে দাবদাহ সৃষ্টি হয়েছে। এতে পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয়, দাবদাহের কারণে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা বিশেষ নামাজ আদায় করলাম। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহ ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। তবে আপাতত তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।