বরগুনা প্রতিনিধি ॥ গতকাল রবিবার ১৯ নভেম্বর আমতলীতে বাল্য বিয়েতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মোঃ অলি উল্লাহ বাল্য বিয়ের নিকাহ রেজিস্ট্রার খাতায় প্রতারনা করে ২লক্ষ টাকা দেনমোহরের পরিমান বাড়িয়ে ১২লক্ষ টাকা করার মামলায় ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের আউয়াল নগর গ্রামের হানিফ ফকিরের পুত্র জহিরুল এর সাথে গত ০৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিন আমতলী গ্রামের আলম বিশ্বাসের নাবালিকা কন্যা শারমিনের রেজিস্ট্রি বিবাহ সম্পন্ন করেন কাজী ওলি উল্লাহ। বিয়েতে ২লাখ টাকা দেন মোহরের ১লক্ষ টাকা উসুল ধার্য্য করা থাকলেও কাবিন নামার কপি সংগ্রহ করে তাতে ১২লাখ টাকা দেনমোহরের ২লক্ষ টাকা উসুল ধার্য্য করা দেখতে পেয়ে জহিরুলের ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এক লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিষয়টি দৈনিক দেশ জনপদ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যপক ঝড় উঠে এবং কাজী অলি উল্লাহ সাথে সাথে আত্মগোপন করে। অবশেষে জহিরুল ইসলামের ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম ১১ নভেম্বর কাজী অলি উল্লাহর বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ের কাবিন নামায় ২লক্ষ টাকার পরিবর্তে ১২লক্ষ টাকা লিখে কাবিননামা সরবরাহ করার বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করে। যার আমতলী থানার মামলা নং০৯, তারিখ-১১/১১/২০১৭ ইং, ধারাঃ ৪২০/৪০৬৬/৪৬৮/৪৭১ দন্ডবিধি ও রেজিস্ট্রেশন আইনের ৮১ধারা। অতঃপর ১২ নভেম্বর দুপুরে আমতলী থানার এসআই মোঃ মনিরুল ইসলাম কাজী অলি উল্লাহকে তারিকাটা বাজার থেকে গ্রেফতার করে ৩দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ১৯ নভেম্বর উক্ত আবেদন শুনানীর জন্য দিন ধার্য রাখেন। শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, গত ১৬.৫.১৬ ইং তারিখে তালতলী উপজেলার শিকারী পাড়া এলাকায় ৮ম শ্রেণীর একটি মেয়ের বিবাহ পড়ানোর সময় মোবাইল কোর্ট কাজী অলি উল্লাহকে এক মাসের সাজা প্রদান করেন। ইহাছাড়াও বাল্য বিয়ের অপরাধে আরও একবার তিনি ১৫ দিন হাজত খেটেছেন বলে কাজীর এক ঘনিষ্টজন জানিয়েছেন। বাল্য বিয়ের অপরাধে এ পর্যন্ত ৩ বার হাজতে যান কাজী অলি উল্লাহ। অভিজ্ঞ মহলের ধারনা, বরগুনা জেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত রাখতে কাজী অলি উল্লার লাইসেন্স বাতিলের বিকল্প নেই। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রষাসক ও জেলা রেজিষ্ট্রার সহ সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের শুভ দৃষ্টি কানা করছে এলাকাসী।